× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাপানে জমজমাট পিঠা উৎসব

প্রবাসীদের কথা

মাহবুব মাসুম, জাপানের টোকিও থেকে
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার

পিঠা প্রেমীদের মন ও রূচিবোধকে পরিতৃপ্ত করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠার সমারোহে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো জাপানে পিঠা উৎসব।বরফ জমা শীতে রোববার বাঙ্গালি কমিউনিটির আয়োজনে বাহারি রংয়ের পিঠা-পুলি আর শিশুদের বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি জমজমাট হয়ে উঠে।ক্ষণিকের জন্য উৎসবটি পরিণত হয় বাঙালীদের মিলনমেলায়।প্রতিবছরের মত এবারো নানা রংয়ের পিঠা তৈরী করে নিয়ে আসে জাপান প্রবাসী গৃহবধূরা। দুপুর থেকেই শুরু হয় উৎসবের প্রস্তুতি। সন্ধ্যায় শতশত বাঙ্গালী পরিবারের অংশগ্রহণে জমজমাট রূপ ধারণ করে উৎসবটি।
১৮ই ফেব্রুয়ারি রোববার টোকিও শহরের পাশেই সাইতামা প্রিফেকচারের গামো কশিগায়া সিটি হলে এ পিঠা উৎসব আনুষ্ঠিত হয়। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় জাপানে বেড়ে ওঠা শিশুদের বাংলা বলার আসর ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে  আলোচনা।
ভীন দেশে বরফ জমা শীতে এমন বাহারি ধরণের গরম পিঠা বাঙালীদের মনে অনেকটা দেশীয় আমেজ তৈরী করে। বাঙ্গালী কমিউনিটির আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রবাসে অবস্থিত বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাঝে নিজেদের ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করতেই এ আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া প্রবাসী বাঙালীদের মনকে একটু রিফ্রেশ করতে ভাবের আদান-প্রদান, পরিচয় আর অড্ডার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
পিঠা উৎসবে বাছাই করে তিনটি স্টলকে সেরা স্টলের পুরুস্কার দেয়া হয়। ঐতিহ্যবাহী এ  পিঠা উৎসব আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতা করে ইসলামিক মিশন জাপান।

পিঠা প্রেমীদের মন ও রূচিবোধকে পরিতৃপ্ত করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠা এ উৎসবে স্থান পায়। এছাড়াও নানা ধরণের বাঙালী খাবার এ উৎসবে প্রদর্শন করা হয়।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উৎবে ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, খোলা চিতুই, দুধ চিতই, ডিম চিতুই, ঝাল কুলি, পায়েস, নাড়ু, পায়েস, গড়গড়ি পিঠা, ক্ষীরে ভরা পাটি সাপটা, কলার পিঠাসহ তেলে ভাজা নানা রংয়ের পিঠা আর দেশীয় সমোচা-সিংগারা স্থান পায়। এ উৎসবে বাঙালী সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয় । যার মাধ্যমে প্রকাশ পায় বাঙালীদের হাজার বছরের ঐতিহ্য।
সাধারণত নতুন ধান ঘরে আসলেই আমাদের দেশে নানা পিঠা উৎসবের আয়োজন চলে। নাইয়রও আসে বাড়ি বাড়ি। কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকে পুরো গ্রাম-শহর। হাড় কাপানো শীতে নানান স্বাধের পিঠা খেতে আড্ডা বসে নানা-দাদার বাড়িতে। কিন্তু বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা সেই স্বাদ আর আনন্দ পায় না। নানা ব্যস্ততা আর বাস্তবতার কারণে বিদেশে নাগরিক জীবনে সেই সুযোগ নেই। তবুও নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে চমক হিসেবে ছিলো জাপানে বেড়ে ওঠা শিশুদের বাংলা বলার আসর ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে  আলোচনা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর