× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এফবিআই-র এক্স বস কোমির নতুন বই (পর্ব-২) /নয়া প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মস্কোর পতিতাদের প্রেক্ষাপট

বই থেকে নেয়া

মানবজমিন ডেস্ক
২৬ মে ২০১৮, শনিবার

এফবিআইয়ের চাকরিচ্যুত পরিচালক উইলিয়াম কোমি তার বইয়ে (‘‘এ হায়ার লইয়ালটি, ট্রুথ, লাইজ এন্ড লিডারশিপ’’) বর্ণনা করেছেন, কি প্রেক্ষাপটে তাকে দেশের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার প্রথম বিষয় হিসেবে মস্কোর পতিতাদের ওই ঘটনা বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করতে হয়েছিল। অবিকল তার বর্ননায় ওই আলোচনা নিচে তুলে ধরা হলো:
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই ওভাল অফিসের কফি টেবিলে রাখা এক বাটি আপেলের দিকে নজর পড়ল। তার কারণ প্রেসিডেন্ট এবং তার স্ত্রী মিশেল ওবামা বেশ স্বাস্থ্য সচেতন। ফার্স্ট লেডি বিভিন্ন স্কুলে একটি ক্যাম্পেন চালাতেন। তার সারকথা হলো, আর নয় জাঙ্ক ফুড, এবার ধরো ফলমূল ওশাকসবজি। সেকারণে ওভাল অফিসে আপেল রাখাটা কয়েকটা বছর ধরেই একটা চেনাদৃশ্য হয়ে উঠেছিল। ওই আপেলগুলো সত্যিই ভোজ্য ছিল কিনা, আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলাম না। তবে দেখলাম, চিফ অব স্টাফ ডেনিস ম্যাকডোনাফ একসঙ্গে দুটো পকেটস্থ করলেন।
তিনি নিশ্চয়ই প্লাস্টিক আপেলের রেপ্লিকা ভক্ষণ করবেন না। আমার ছোট মেয়ে বহুকাল আগে একবার বায়না ধরেছিল, তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল আপেল এনে দিতে হবে। এবং নিশ্চিতভাবেই সেটাই ছিল শেষ সময়, যখন আপেল এবং আমি একইসঙ্গে সেখানে সহবস্থান করছিলাম। তাই চটজলদি সিদ্ধান্ত নিলাম, আজই এর একটা বিহিত করতে হবে। নাউ অর নেভার। আপেলটি নিতে হবে এখনই, নচেৎ কখনই নয়। রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে একটি বৈঠককে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সামনে রেখে একটি আপেল এখনই বাগে আনতে হবে? হতোদ্যম মনে হল। কিন্তু পিতৃত্বের কাছে হার মানতেই হলো।আমি একটি আপেল লুফে নিলাম। কেউ আমাক রুখল না। গাড়িতে উঠে আমি আপেলের ছবি তুললাম এবং মেয়ের কাছে পাঠালাম। ওই সন্ধ্যায়ই তাতার হাতে পৌছে গেল। সে আমাকে আপেলের একটি টুকরো খাইয়েছিল। কিন্তু তা প্লাস্টিক ছিল না।
ওইদিনেরই শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জে জনসনের কাছ থেকে ফোন পেলাম। আশির দশকে ম্যানহাটনে আমরা যখন ফেডারেল প্রসিকিউটর ছিলাম, সেইথেকে আমাদের বন্ধুত্ব। সেদিন সকাল থেকেই তিনি ব্রিফিংয়ের জন্য ওভাল অফিসে ছিলাম। আমার কোনো ধারণাই ছিল না যে, তিনি ট্রাম্পের পতিতা দিয়ে ওবামার ব্যবহৃত বিছানায় মূত্রত্যাগ করানোর ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার পরামর্শে আমাকে ফোন করেছেন নাকি তারা দুজনে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে শলাপরামর্শ সেরে নিয়েছেন। কিন্তু তিনি যা আমার কাছে জানতে চাইলেন সেটা হলো, ওভাল অফিস ঘটনাটির বিষয়ে যে ভ্রুকুঞ্চিত মনোভাব নিয়েছে, সে বিষয়ে আমার কি মত? তিনি বললেন, ‘‘জিম, তুমি এ বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্টের সঙ্গে আলোচনা করতে যাবে, সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত আছি।”
‘‘আমিও উদ্বিগ্ন।’’, আমি বললাম।
‘‘তুমি কি কখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছ?’’, তিনি জানতে চাইলেন।
বললাম, না।
‘‘জিম, কেয়ারফুল, বি ভেরি কেয়ারফুল। এর পরিণতি কিন্তু ভালো নাও হতে পারে।’’
আমি জে-কে সতর্ক করা এবং ফোন করার জন্য ধন্যবাদ জানালাম। তবে বিষয়টি নিয়ে আমার মনটা অস্বস্তিতে ভরে গেল।
এখনও পর্যন্ত আমি এর বাইরে (তাকে জানানোর) কিছু ভাবতে পারি না। ঘটনার ম্যাটারিয়াল বিষয়ে এফবিআই সজাগ ছিল। এই বিষয়ক ম্যটারিয়লের যে অস্তিত্ব আছে, সে বিষয়ে দুজন মার্কিন সিনেটর আলাদাভাবে ফোন করে আমাকে সতর্ক করেছিলেন। আর ওয়াশিংটনে এমন আরো অনেকেই ছিলেন,যাদের কাছে এই ম্যাটারিয়াল ছিল কিংবা ম্যাটারিয়ালের ব্যাপারে অবহিত ছিলেন। সিএনএন এফবিআইএর প্রেস অফিসকে অবহিত করেছিল যে, তারা শিগগিরই এমনকি পরদিনও সেটা প্রকাশ করতে পারে। এখন সেটা সত্যি বা মিথ্যা ভিন্ন বিষয়; এফবিআইয়ের কাজ হলো কোনো প্রতিপক্ষ যখন এরকম তথ্য অবহিত করা তখন সেটাকে একটা জবরদস্তি হিসেবে গণ্য করা এবং প্রতিপক্ষ কি করতে পারে বা পারে না, সেটা পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ নিরুপণ করা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর