× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আনুষ্কা শর্মার মতো আপনারও হতে পারে...

শরীর ও মন

অনলাইন ডেস্ক
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার

সম্প্রতি এক অসুখের শিকার হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী আনুষ্কা শর্মা। বলিউড সূত্রে জানা যায়, বালজিং ডিস্ক নামক এক রোগ কুপোকাত করেছে এ নায়িকাকে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী স¤পূর্ণ বিশ্রামে আছেন তিনি। কিন্তু অবাক করার বিষয়, এ রোগে কেবল অনুষ্কাই নন, সাবধান না হলে আপনিও এই আক্রান্ত হতে পারেন যে কোন সময়। বিশেষ করে নারীদের এ হাড়ের অসুখ বেশি দেখা দেয়।

আসলে, কী এই বালজিং ডিস্ক অসুখ, আর কী- বা তার লক্ষণ, কেমন করে এ অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, এ স¤পর্কে অস্থিবিশেষজ্ঞ অমিতাভ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান,

বালজিং ডিস্ক
মেরুদণ্ডের দু’টি হাড়ের মাঝে শক অ্যাবসর্ভার (হঠাৎ ঝাঁকুনি সামাল দেওয়ার অংশ) হিসাবে নরম জেলির মতো থকথকে এক ধরনের পদার্থ থাকে। তার বাইরে একটি পাতলা আবরণও থাকে। ঝুঁকে কাজ, ভারী কোনও কাজ, এমনকি, জোরে হাঁটতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েও এই জেলির মতো অংশের আবরণ ফেটে গিয়ে ভিতরের জেলি বেড়িয়ে যায়।
সুষুম্নাকা-ের উপর সেই জেলি চাপ সৃষ্টি করে, ফলে শরীরের নানা স্নায়ুর উপরই চাপ পড়ে। এই কারণেই শরীরের নানা অংশে খুব যন্ত্রণা হয়। অস্থিবিশেষজ্ঞ কৌশিক ঘোষ সহমত প্রকাশ করে জানান, প্রথম থেকে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই অসুখ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

চিকিৎসা
বালজিং ডিস্ক প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সম্পূর্ণ বিশ্রামই এর অন্যতম ওষুধ। বিশ্রামের সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ব্যায়ামও করা উচিত। তবে অসুখ একান্তই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচার এর একমাত্র উপায়। বিদেশে এই জেলির মতো অংশ প্রতিস্থাপনের চল আছে। তবে এ দেশে এখনও অতটা উন্নত হয়নি বালজিং ডিস্কের চিকিৎসা। তাই এই অসুখ নিয়ে অবহেলা করা উচিৎ না।

উপসর্গ
অস্থিবিশেষজ্ঞ কৌশিক ঘোষের মতে, জেলি ফেটে বেড়িয়ে না এলে এর ব্যথা বোঝা যায় না। তাই এই অসুখের আক্রমণ হঠাৎই হয়।

সাবধানতা
চিকিৎসকদের মতে এই অসুখ থেকে দূরে থাকতে বরাবরই ব্যায়াম ও মেডিটেশন অভ্যাস করা উচিত। মেডিটেশনে স্নায়ুর অসুখ দূরে থাকে। প্রধানত, পেটের সামনের দিকের ও পিঠের পিছনের দিকের কিছু ব্যায়াম এই অসুখ প্রতিহত করে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই ব্যায়াম অভ্যাস করা উচিত। নিত্য খাদ্যতালিকায় হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এমন খাবার, অর্থাৎ উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার রাখা উচিত সকলের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর