× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মনের অজান্তেই ডেকে উঠলাম মাগো!

ষোলো আনা

ইমরান আলী
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

মিরপুর ১০। রাত বাজে পৌনে বারোটা। অনেক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আলো কমতে শুরু করেছে চারদিকে। যদিও রাজধানী ঘুমাতে জানে না। আকাশে মেঘ। বৃষ্টি না হলেও সবার মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক আছে, এই বুঝি বৃষ্টি নামলো!  ক’দিন ধরেই মেঘের আনাগোনা আকাশজুড়ে।  

ফুটপাথের দোকানগুলো ত্রিপল দিয়ে টাইট করে বাঁধা হচ্ছে।
এমন সময় এক মহিলা এসে এক ফলের দোকানে দাঁড়ালেন।

বললেন- ভাই একটা পলিথিন দ্যান না?
দোকানি চেঁচিয়ে উঠলো। এইটা কি পলিথিনের দোকান?
মহিলা গেলেন পাশের দোকানে। কোলে তার ছোট্ট একটা বাচ্চা।  ঘুমিয়ে পড়েছে।
ভাই- একটা পলিথিন দেবেন?
লোকটা একটা পলিথিন চেয়ারের নিচ থেকে বের করে দিলো। মহিলা পলিথিনটা ফুঁ দিয়ে ফুলালেন। ভেতরে ময়লা আছে কিনা তাও দেখে নিলেন।
এরপর মেইন রাস্তায় এসে পলিথিনটা তার কোলের বাচ্চার মাথায় দিলেন। এতক্ষণ বাচ্চার মাথায় কিছু ছিল না। মহিলা আকাশের দিকে তাকালেনও একবার।
পলিথিনেও ভরসা পেলেন না বুঝি। বাচ্চার মাথায় পলিথিনের উপরে এবার তার কাপড়ের আঁচলটা দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে দিলেন। অতঃপর হাঁটা শুরু করলেন। নিশ্চিত হলেন বৃষ্টি হলেও আর যাই হোক বাচ্চার মাথা ভিজবে না। নিজের মাথা ভিজলেও তার আপত্তি নেই। বাচ্চা থাকুক নিরাপদ।

আমি মহিলার দিক থেকে নজর ফিরিয়ে আমার গন্তব্যে হাঁটা শুরু করলাম। টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমার মাথায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও পড়ছে। আকাশের দিকে তাকালাম। অস্ফুট স্বরে মনের অজান্তেই  ডেকে উঠলাম- মাগো...
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর