× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘মসজিদে পানি নেই বাসা থেকে অজু করে আসুন’

ষোলো আনা

সাদ ইসলাম শামস ও কামরুল ইসলাম
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

আজান শেষ হওয়ার একটু পরেই মসজিদের মাইকে ভেসে আসলো ‘মুসল্লি ভাইয়েরা মসজিদে পানি নেই, আপনারা সবাই বাসা থেকে অজু করে আসেন।’ এমন ঘোষণা রাজধানীর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা সংলগ্ন পশ্চিম মাটিকাটা এলাকার নিত্যদিনের।

পানির সমস্যা এ এলাকায় বহু দিনের, প্রায় সাত মাস। যার কারণে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষের জীবন। গোসলের পানি নেই। নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পানি। দৈনন্দিন অন্যান্য কাজকর্ম থমকে আছে পানির অভাবে। এভাবেই দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন পশ্চিম মাটিকাটা এলাকার বাসিন্দারা। পাশের এলাকা থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে একবার পানি আনতে ব্যয় হয় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। উচ্চবিত্তরা কেনেন নিল জারের পানি।
এক জার পানির মূল্য ৩০ টাকা। মাস শেষে এই পানির পেছনের একএকটি পরিবারের খরচ দুই থেকে তিন হাজার টাকা।

এ এলাকার পাশেই ভাষানটেক ও মাটিকাটা এলাকা। এলাকাবাসীর দাবি, ভাষানটেক ও মাটিকাটা এলাকায় পর্যাপ্ত পানি মিললেও এই পশ্চিম মাটিকাটা এলাকায় মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। এ ঘটনার জন্য অনেকাংশে ওয়াসাকে দায়ী করছে এলাকাবাসী। তাদের দাবি আগে পানির পাইপ ছিল ১২ ইঞ্চি পুরু, কিন্তু এখনকার পাইপ চার ইঞ্চি পুরু। যার কারণে ওয়াসার পানির লাইন দিয়ে পানি আসে না।

আহমদ আলী, পশ্চিম মাটিকাটা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি জানান, পানির এই সমস্যা এ এলাকায় বহুদিন ধরে। সকাল ৬টায় ১০ মিনিটের জন্য একটু পানি আসে। এই এতটুকু পানি দিয়ে চলতে হয় সারাদিন। আর গত দুই দিন ধরে তো পানিই আসছে না।

সরজমিন দেখা যায় পশ্চিম মাটিকাটা এলাকায় প্রায় প্রতিটা বাসায় পানির জন্য হাহাকার। ট্যাংক খালি। এমনকি চায়ের দোকানগুলোতেও একই অবস্থা। পুরো এলাকাজুড়ে মাটির উপরে এবং মাটির নিচে অসংখ্য সরু পানির পাইপ থাকলেও পানির চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ তা।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম বলেন, মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর, দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মুসাফির এখানে নামাজ পড়তে আসে। কিন্তু তাদের আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিতে পারি না ওজু করার জন্য। মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে বাসা থেকে ওজু করে আসতে বলি। কিন্তু বাসাতেও ওজু করার পানি পাইবো কই বাসিন্দারা?

এলাকার এক বাড়িওয়ালা কামরুজ্জামান বলেন, পানির কারণে  এলাকায় বাসা ভাড়া অর্ধেক। তারপরেও থাকে না ভাড়াটিয়া। এই মাসেই আমার বাসার চারটি ঘর খালি হবে। আর ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ায় আমার মতো অন্যান্য বাড়িওয়ালারাও পড়েছে বিপাকে। তিনি আরো বলেন, পানি পাওয়ার আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোটর চালানোর জন্য বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ।

ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল হাবিব জানান, এ এলাকার পানির উৎপাদন কমে যাওয়ায় এই সমস্যা। একটি পাম্পের বোরিং শুরু করব। মাসখানেকের মধ্যেই সমস্যা দূর হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর