× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করতে চাইলেন আত্মহত্যা হলেন খুন

রকমারি

অনলাইন ডেস্ক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, রবিবার

২০১০ সালের ঘটনা। একাদশ শ্রেণিতে পড়ত পলাশ। বছর তিনেক ধরে পলাশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তপতীর। ওই তরুণীর বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল পলাশের। সেই সূত্রেই এক বছরের বড় তপতীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। ইতিমধ্যে, তপতী প্রেমে পড়ে দাদার এক বন্ধুর সঙ্গে। কথাবার্তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। পলাশের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে।

তা মেনে নিতে পারেনি ছেলেটি।
তা নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন। গৌরবও চায়নি পলাশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক বোন। পথেঘাটে সে পলাশকে হুমকি দিতে থাকে। মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকে সতেরো বছরের ছেলে পলাশ। সে সময়েই সুইসাইড নোটে তপতী, তার ভাই এবং আরও দু’জনের নাম লেখে সে। ইতিমধ্যে ‘পথের কাঁটা’ পলাশকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে ফেলে প্রেমিকা আর তার ভাই। ঘটনার দিন  তপতী পলাশকে  ডেকে পাঠায়। নির্মম ঘটনাটি ঘটে ভারতে। তাকে  নিয়ে যায় গোবরডাঙার জামদানি এলাকায় রেল লাইনের কাছে। সেখানে ছিল গৌরব। মদের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় পলাশকে। মারধরও করা হয়। পলাশ পাশের একটি বাড়িতে ছুটে পালায়। ওই বাড়ির এক যুবক তাকে গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখান থেকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই পলাশের মৃত্যু হয়। ২০১২ সালে ধরা পড়ে ভাইবোন। হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে এত দিন বাইরে ছিল।

এই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তরুণী ও তার দাদার। শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অসীমকুমার দেবনাথ ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর