সিলেট এমসি ও সরকারি কলেজের প্রাক্তনদের এক মিলনমেলা বসেছিল নিউইয়র্কের কুইন্স ব্যুরোর জ্যাকসন হাইটস এলাকার জালালাবাদ ভবনে। নবীন-প্রবীণদের ওই আড্ডায় সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতির নানা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাদের সোনালী অতীতে স্মৃতি রোমন্থন করেন। স্বরণ করেন প্রয়াত শিক্ষক-গুণীজনদের।
একই সঙ্গে নিন্দা জানানো হয় ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়ার মতো বিষাক্ত রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর। সাম্প্রতিক ওই আড্ডার উপলক্ষ ছিলেন ৮০’র দশকের ছাত্র নেতা প্রাক্তন ভিপি ইকবাল হোসেন এবং এমসি কলেজ থেকে সাংবাদিকতার সূচনাকারী মানবজমিনের কূটনৈতিক রিপোর্টার মিজানুর রহমান। আড্ডার সূচনাতে দুই প্রজন্মের দুই প্রতিনিধিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সংবর্ধিত ইকবাল হোসেন আয়োজক সিনিয়র-জুনিয়র সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন।
ছাত্রলীগ থেকে এমসি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হওয়া লন্ডন প্রবাসী ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে নিউইয়র্কে এসেছিলেন। ইকবাল উপস্থিত সুধীজনদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি অনুগত থেকে আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।
আমি নৌকার মনোনয়ন পেলে এবং চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হলে বাকিটা জীবন মানুষের কল্যাণেই কাটিয়ে দিতে চাই। মানবজমিনের কূটনৈতিক রিপোর্টার মিজানুর রহমান এমসি কলেজের প্রাক্তনদের উদ্দেশ্যে বলেন, অগ্রজরা এই সতীর্থের প্রতি যে মমত্ববোধ এবং মানবজমিনের প্রতি যে ভালবাসা দেখিয়েছে তা স্বরণীয় হয়ে থাকবে। ভবিষ্যত জীবনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ৮০’র দশকের এমসি কলেজের ছাত্র বেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রাক্তন ছাত্র ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রাক্তন ছাত্র দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, কাজী ওয়াদুদ, আবদুর রহীম বাদশা, আমিনুল হক চুন্নু, নুরুর রহমান সাচ্চু, শাহীন আকমল, মোহাম্মদ হোসেন সারওয়ার, মো. আশরাফুল আম্বিয়া, বশির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর করিম, মাইনুল হক, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যৌথভাবে সুয়েজ আহমেদ ও সাখাওয়াত আলী।