× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাসর ঘরে চাবি বিড়ম্বনা

ষোলো আনা

পিয়াস সরকার
১২ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার

কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ক্লান্ত পরিবারের লোকজন। নতুন বধূ নিয়ে বাড়িতে যখন ঢুকলেন তখন ঘড়িতে সময় রাত ২টা। এমন সময় বর-বধূ ঢুকতে পারছেন না বাসর ঘরে। কারণ চাবি নাই। পরে জানা গেল চাবি  ভেতরে রেখে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন ছোট বোন।

রাত তখন ৩টা। ডাকা হলো আজাদ হোসেনকে। তিনি চাবির কারিগর। রায়ের বাজার থেকে আসছেন চাবি বানাতে।
শঙ্করে এসে আরেক বিপত্তি। খুঁজে পাচ্ছেন না বাড়ি। বিয়ে বাড়ির  লোকজন তাকে খুঁজে বের করলেন। বিয়ে বাড়িতে আসলেন আজাদ। তখন ঘড়িতে সময় সাড়ে ৪টা। চাবি বানাতে লেগে গেল আরো ৩০ মিনিট। ৫টার সময়  খোলা হল বাসর ঘর। খুলে তিনি দেখেন ফুলে ফুলে সজ্জিত বাসর রাত। তবে ততক্ষণে রাত পার হয়ে ভোর হয়ে গিয়েছে। চাবি বানানো শেষে আজাদ দেখলেন নতুন বধূ সোফায় কাত হয়েই ঘুমিয়ে পড়েছেন। আজাদ হোসেন বলেন, সেদিন আমাকে ২ হাজার টাকা বকশিশ দিয়েছিলেন তারা।

আজাদ হোসেন (৪৫)। বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। ১২ বছর যাবৎ ঢাকা শহরে চাবির কাজ করেন। একবার, এক ১৫ বছরের ছেলে খেলতে গিয়ে হাত ভেঙে ফেলেন। বাড়ির লোকজন তাড়াতাড়ি করে ছেলের কাছে ছুটে যায়। ভুলে ঘরে ফেলে আসেন চাবি। ছেলের হাতে প্লাস্টার করিয়ে বাড়িতে ফিরে দেখেন চাবি নাই। আজাদ হোসেনের ডাক পড়ার পর দেখেন ফ্ল্যাটের পাশে বসে কাতরাচ্ছে ছেলে। তার মায়ের কান্না ভেজা চোখ। আরেকদিনের ঘটনা, এক ব্যক্তি শুক্রাবাদে এক রুম নিয়ে সাবলেট থাকেন। চাবি না পাওয়ায় রাগে লাথি দেন দরজায়। তাতে কেটে যায় নিজের পা। আমি চাবি বানিয়ে ঘরে ঢুকানোর পর তিনি আবিষ্কার করেন তার ব্যাগেই ছিল চাবি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর