× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চলচ্চিত্রে ২৫ বছর পার

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বিগত তিন দশকে যদি তিনজন জনপ্রিয় নায়িকার নাম উচ্চারণ করতে হয় তবে নিঃসন্দেহে সেখানে অনায়াসে চলে আসে জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের নাম। এখনো কোটি ভক্তের প্রিয় নায়িকার নাম শাবনূর। সেই জনপ্রিয় নায়িকা আজ তার চলচ্চিত্রের পথচলায় ২৫ বছর পার করেছেন। প্রয়াত কিংবদন্তী চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশামের হাত ধরেই ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর চলচ্চিত্রে শাবনূরের অভিষেক হয়। এমবি ফিল্মস লিঃ প্রযোজিত আজিজ মোহাম্মদ ভাই নিবেদিত এই চলচ্চিত্রে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেন শাব্বীর। প্রথম চলচ্চিত্র ব্যবসা সফল না হলেও পরিচালক জহিরুল হক ঠিকই বুঝেছিলেন যে তাকে দিয়ে অভিনয় হবে। আর তাই প্রয়াত জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করে সালমান-শাবনূর জুটি চলে আসেন আলোচনায়। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শাবনূরকে।
একই নায়কের সঙ্গে একে একে ‘বিক্ষোভ’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘বিচার হবে’, ‘জীবন সংসার’, ‘আনন্দ অশ্রু’সহ আরো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অনবদ্য নিজস্ব ঘরানার অভিনয় শাবনূরকে নিয়ে আসে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সেই সময়ই ওমর সানীর সঙ্গে তার ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র ওয়াকিল আহমেদের ‘প্রেমের অহংকার’ ও ‘অধিকার চাই’। সালমানের মৃত্যুর পর শাবনূর জুটি হিসেবে রিয়াজের বিপরীতে কাজ শুরু করেন। তার সঙ্গেও অনেক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। মূলকথা শাবনূর যখন যার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন দর্শক তার চলচ্চিত্র দেখার জন্যই হলমুখী হয়েছেন। সিনিয়র, জুনিয়র পরিচালকদের সঙ্গে শাবনূর সমানতালে কাজ করেছেন। ১৯৯৩ সাল থেকে বলা যায় প্রায় টানা পনেরো বছর শাবনূর তার রাজত্ব করে গেছেন। পরবর্তীতে অনেক পরিচালকের অনুরোধে চরিত্রে ভিন্নতা এনে চলচ্চিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। অনেক দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিলেও মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৫ সালে তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এটিই তার প্রথম এবং একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। দীর্ঘ পঁচিশ বছরের এই পথচলা প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, দেখতে দেখতে জীবনের এতোটা সময় পেরিয়ে এসেছি ভাবলেই অবাক হই। কতো কতো প্রিয় মুখ আর নেই এখন, এ কথা ভাবলেও কষ্ট হয়। আল্লাহর রহমতে চলচ্চিত্রে এখনো যথেষ্ট সম্মান নিয়েই আছি আমি। আমার অভিনয় জীবনের পথচলায় আমার প্রত্যেক চলচ্চিত্রের পরিচালক, প্রযোজক, সিনেমাটোগ্রাফার, কাহিনীকার, প্রোডাকশন বয়, ট্রলিম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার বোন ঝুমুরের কথা উল্লেখ করতেই হয়। সবারই সহযোগিতায় আমি আজকের শাবনূর। চলচ্চিত্রের সবাইকে নিয়ে আমি ভালো থাকতে চাই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর