× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পূজাতেও রাজনৈতিক জনসংযোগের কর্মসূচি

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ১৭, ২০১৮, বুধবার, ১২:০০ অপরাহ্ন

দুর্গাপূজার কদিন আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি থেমে নেই। আর তাই পূজা মন্ডপের সামনে বা ধারে কাছে বই ও পার্টির পত্রপত্রিকা বিক্রির স্টল খুলে জনসংযোগের ব্যবস্থা করছে সব রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। অবশ্য পূজো মন্ডপের কাছে স্টল খুলে বই বিক্রির উদ্যোগটা ছিল সিপিআইএমের। গত কয়েক বছর ধরে শামিল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে এ বছর জোর উদ্যোমে এই জনসংযোগের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি এবং আরএসএস-র কর্মীরা। রাজ্যের  রাজনীতিতে  সিপিআইএম। অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে থাকলেও পূজা উপলক্ষ্যে তারা তাদের উপস্থিতি ভালভাবেই জানান দিয়েছে। সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর নেতারা পর্যন্ত বুক স্টলে হাজির থেকে বই ও পার্টির প্রচার পুস্তিকা বিক্রি করছেন।

সিপিআইএম সুত্রে বলা হয়েছে,  সিপিএমের বই বিপণি এবং বিপণন, দু’টোই এবার বেড়েছে। কলকাতায় সিপিআইএমের বুক স্টল হয়েছে ১০৫টা। আর গোটা রাজ্যে হাজারের বেশি। অনেক জায়গায় অবশ্য শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বাধায় স্টল খোলা যায়নি বলে জানিয়েছেন সিপিআইএম নেতারা।  সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর বর্ষীয়ান সদস্য বিমান বসু জানিয়েছেন, কিছু মানুষ এখনও আছেন, যাঁরা পূজায় বই কেনার জন্য টাকা বরাদ্দ রাখেন। তাঁদের হাতে বই তুলে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের নিতেই হবে। তৃণমূল কংগ্রেস বুক স্টল খোলার ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহী না হলেও অনেক জায়গাতেই দলীয় মুখপত্র ’জাগো বাংলা’র নামে স্টল খোলা হয়েছে। এই সব স্টলে দলীয় পত্রিকার পাশাপাশি দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই ও গানের সিডিও বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দলীয় নেতাদের দাবি এবার অনেক বেশি স্টল খোলা হয়েছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। বুক স্টল তৈরি করে আলাদা করে জনসংযোগের দরকার হয় না। তবে তিনি বলেছেন,  সকলে সকলের মতো বইয়ের স্টল করেছে, এটা ভাল ব্যাপার। অবশ্য ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এ বছর বুক স্টল খুলে জনসংযোগে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। বিজেপি কলকাতায় প্রায় ৫০টি বুক স্টল খুলেছে। আর সারা রাজ্যে প্রায় হাজারের কাছাকাছি। বিজেপি নেতারা বলেছেন, তাঁদের ‘জাতীয়তাবাদী চিন্তানায়ক’দের লেখা বইয়ের পাশাপাশি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়েও স্টলে স্টলে প্রচার চলছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীফ ঘোষ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ইতিহাসে এবারই প্রথম এক সংখ্যক বুক স্টল খোলা হয়েছে। আসলে মানুষ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর