নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিষয়টি এখনও যৌথ সংসদীয় কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে। সংশোধনী বিলটি লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভাতে আটেকে গেছে। তবে ভারত সরকার আর অপেক্ষা না করেই বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্থান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেয়ার কাজ শুরু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারেই জেলা শাসকেরা এই কাজ করতে পারবেন। আপাতত ৭টি রাজ্যের ১৬টি জেলায় থাকা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবার নির্দেশ দেওয়া হযেছে। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে ১৬টি জেলার জেলা শাসকদের নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, অসম বা ত্রিপুরার মতো বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্যের কোনও জেলা নেই। যে সব রাজ্যের জেলাগুলিতে থাকা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে সেগুলি হল, পূর্ব ও দক্ষিণ দিল্লি, ছত্রিশগড়ের রায়পুর, গুজরাতের আমদাবাদ, গান্ধীনগর ও কচ্ছ, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও ইন্দোর, মহারাষ্ট্রের নাগপুর, মুম্বই, পুণে ও ঠানে, রাজস্থানের যোধপুর, জয়পুর ও জয়সলমির, উত্তরপ্রদেশের
লক্ষ্ণৌ।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের যে প্রস্তাব সরকার সংসদে এনেছে তাতে বলা হয়েছে, উদ্বাস্তুরা ৬ বছর বা তার বেশি ভারতে বসবাস করলেই ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগের আইনে সময়সীমা বলা হয়েছিল ১২ বছর বা তার বেশি সময় থাকলে আবেদন করা যাবে। এদিকে সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে।
প্রশ্ন উঠেছে বিজ্ঞপ্তি জারির তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অসমের মত রাজ্যের না না থাকা নিয়েও। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, পাঁচ রাজ্যে ভোট ঘোষণার পরেও সরকারের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিলের মতে, হিন্দু ও শিখ ভোট পেতেই এই সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে পাঁচ রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করবে।