বিশ্বের অর্থনীতিতে বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের সোপানে স্থান করে নিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করতে কলকাতায় শনিবার আয়োজিত হয়েছিল উন্নয়ন মেলা। কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত ‘৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা-২০১৮’ বঙ্গবন্ধু সরণীর উপ-হাইকমিশন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন আলোচনায় অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের সারিতে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের এই আগ্রগতি পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের আগ্রগতিও মজবুত করবে। অর্থনীতিবিদ সুগত মারজিত তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে । তিনি মনে করেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আরও উন্নতি করার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেছেন, বিশ্ব-অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চলমান সংকট এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উদ্ভূত নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্বেও যথোপযুক্ত রাজস্বনীতি ও সহায়ক মুদ্রানীতির প্রভাবে বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বজায় রয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে যে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে তাতে বিশ্ববাসী বিস্মিত হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন, ভারত চেম্বার অব কমার্স-এর সভাপতি সীতারাম শর্মা। স্বাগত ভাষণে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি নানা তথ্যসহ তুলে ধরেন। এদিনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন সংক্রান্ত দুটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়েছে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সবুজ, নূরজাহান আলীম ও কলকাতার সৈকত মিত্র।