× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে আতঙ্ক /আসামে বাঙালিরা আত্মহত্যার পথে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২৯, ২০১৮, সোমবার, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি

একদিকে বাঙালি বিরোধী জঙ্গী আন্দোলনের হুমকি, অন্যদিকে পুলিশের সীমান্ত শাখার তুঘলকি কা-ে আসামের বাঙালিদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি উলফার হুমকি এই আতঙ্ককে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। উলফা নেতা মৃণাল হাজারিকা ১৯৮৩ সালের সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনার হুমকি দিয়েছেন। ফলে বহু বাঙালি মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। গত কয়েক মাসে প্রায় বারো জন বাঙালি আত্মহত্যা করেছেন। এদের প্রত্যেককেই ডাউটফুল (ডি) ভোটারের নোটিশ ধরিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে বলা হয়েছিল। গত রোববারই চরম অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন ওদালগুড়ির বাসিন্দা সাইকেল মেকানিক দীপক দেবনাথ। তার বাড়ির অদূরেই পাওয়া গিয়েছে ঝুলন্ত দেহ।
মৃতের ভাইপো উত্তম দেবনাথ জানিয়েছেন, এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের আগের দিন দীপকবাবুর নামে ডি-ভোটারের নোটিস এসেছিল। অথচ চূড়ান্ত খসড়ায় দীপক, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার নামই ছিল। কিন্তু ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ক’দিন আগে তার নথিপত্র পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়ে নতুন নথি নিয়ে ৩১শে অক্টোবর শুনানির জন্য হাজির হতে বলেছিল। দীপকবাবু কীভাবে নতুন নথি যোগাড় করবেন তা ভেবে না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছেন। এর আগে জুলাইয়ে এই ওদালগুড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন গোপাল দাস নামে এক বাঙালি। আর গত ২১শে অক্টোবর আত্মহত্যা করেছেন খারুপেটিয়ায় এক আইনজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিরোদবরণ দাস। সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেছেন, নথি যোগাড়ের সঙ্কট অনেক বাঙালিকেই আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাছাড়া রয়েছে ট্রাইবুনালে মামলা চালানোর খরচ। তাছাড়া  উলফার আন্দোলনের সময়ে ওদালগুড়ি ও খারুপেটিয়ায় অনেক বাঙালিকে খুন করা  হয়েছিল, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ঘরবাড়ি। উলফার নতুন হুমকিতে সেই পুরনো স্মৃতি ফিরে আসায় সকলে আরও ভীত হয়ে উঠেছেন। তবে আসামের বিজেপি সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এনআরসি প্রক্রিয়া চলাকালীন আপাতত ডি-ভোটারের নোটিস পাঠানো হবে না। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারের গাফিলতিতেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর