× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইবি’র 'সি' ইউনিটের কমিটি বাতিল করে তদন্ত

শিক্ষাঙ্গন

ইবি প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ৬, ২০১৮, মঙ্গলবার, ৬:২২ পূর্বাহ্ন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি-ইউনিটের কোর কমিটি বাতিল করেছে প্রশাসন। পরীক্ষা বাতিলের দাবি উঠায় নতুন কোর কমিটি ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সূত্র মতে জানা যায়, সোমবার বাণিজ্য অনুষদভূক্ত 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন এবং ওএমআর এর মাঝে অমিল ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে হল পরিদর্শকদের তিন ধরণের নির্দেশনায় উত্তর করে বাণিজ্য শাখার ৪ হাজার ৪১৬ জন শিক্ষার্থী। এতে ফলাফল বিড়ম্বনা ও অকৃতকার্য হবার শঙ্কায় পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলেন পরীক্ষার্থী ও হল পরিদর্শকরা। পরে ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ফ্যাকাল্টি মিটিং (অনুষদীয় সভা) করা হয়। এতে সর্বসম্মতভাবে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ভিসি অফিসে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনুষদীয় কমিটির পরীক্ষা বাতিলের লিখিত সুপারিশ পেশ করা হয়।
একই সঙ্গে কমিটির সদস্যরা সভায় তাদের ভুল স্বীকার করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিকেল ৫টায় ভিসি ড. রাশিদ আসকারী পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেন।
এতে আহ্বায়ক হিসেবে ড. জাকারিয়া রহমান (মার্কেটিং), ড. সাইফুল ইসলাম (ব্যবস্থাপনা), ড. জহুরুল ইসলাম (আইন) ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন, (আইসিই) ও ড. জাকির হোসেনকে (হিসাববিজ্ঞান) সদস্য করা হয়। কমিটিকে প্রশ্ন এবং ওএমআর শিটের অমিল, অসঙ্গতির জন্য দায়ী ব্যক্তি ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে 'সি' ইউনিটের তিন সদস্যের পূর্বের কোর কমিটি বতিল করে পৃথক কমিটি করা হয়েছে।
এতে সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি ড. জাকারিয়া রহমান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ড. মিজানূর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. সাইফুল ইসলাম। তাদেরকে তদন্ত কমিটির প্রদিবেদন অনুযায়ী 'সি' ইউনিটের ভর্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে ভুল স্বীকার করার পরেও কমিটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিনিয়র শিক্ষকরা। একই সঙ্গে স্পষ্ট ভুল এবং অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা বাতিল না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিায় জানান তারা।

এ ব্যাপারে ভিসি ড. রাশিদ আসকারী বলেন ‘পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুবিচার নিশ্চিত করা হবে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর