× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীনগরে আলোচনায় বুলবুল

ইলেকশন কর্নার

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১২ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে দু’বারই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. এবাদুল করিম বুলবুল। পরে জোটের স্বার্থ রক্ষায় এই মনোনয়ন পরিবর্তন হয়। এর আগে নবীনগর আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেন তিনি। ভোট রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছেন গত ১২-১৩ বছরে। দলের নেতাকর্মী-সমর্থক সবার কাছেই পরিচিত এই মুখ। মায়ের শারীরিক অসুস্থতায় দশম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকলেও এবার সক্রিয় তিনি। তা ছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্য আর নির্বাচন করবেন না বলে প্রকাশ্যে বেশ কয়েক বার ঘোষণা দেয়ার পর বুলবুলের নাম চলে আসে দলের মনোনয়ন প্রার্থী তালিকার শীর্ষে। নানা কারণে মনোনয়ন পাওয়ার অগ্রদাবি করছেন এবাদুল করিম বুলবুল।
তিনি জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে ২০০৫ সালে নবীনগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। এরপর আর রাজনীতির মাঠ ছেড়ে যাইনি। আমি যখন নবীনগর আওয়ামী লীগের হাল ধরি সেখানে ছিল দলের দুর্দিন। নেতৃত্বশূন্য ছিল  নবীনগর আওয়ামী লীগ। ওই সময়ে আওয়ামী লীগ ছিল একজন রাজাকারের হাতে। রাজাকার হটিয়ে নতুন কমিটি রিফর্ম করতে আমাকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। সে কারণে বলছি মনোনয়ন প্রার্থী অন্যদের চেয়ে আমার দাবিটা কিন্তু বেশি। আমি অন্তত এইটুকু বলতে পারবো, আমিতো গিয়েছিলাম দুর্দিনে। দুর্দিনের একটা মূল্যায়ন হওয়া উচিত। তা ছাড়া আমার সমর্থক গোষ্ঠীর একটা চাহিদা আছে। আমি মনোনয়ন পেলে আলেম-উলামা থেকে শুরু করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ খুশি হবেন। বিশেষ করে আওয়ামী ঘরাণার সবাই। একবারের জন্য আমি নমিনেশন পাই সেটা তাদের সবারই চাওয়া। অনেক নেতাকর্মী বলছে আপনি একবার এমপি হন। আমার বিশ্বাস নেত্রী এর মূল্যায়ন করবেন। তিনি জানান- বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল প্রকাশ্যে বক্তৃতায় অনেকবার বলেছেন, তিনি আর নির্বাচন করবেন না। আমাকে পার্সোনালি বলেছেন, বুলবুল ভাই আপনি রেডি হন, নির্বাচন আপনিই করবেন। ২০০৫ সালে সরাসরি রাজনীতিতে এলেও ১৯৯১ সাল থেকে এলাকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন বুলবুল। শিক্ষার বিস্তার ও মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে শুরু করেন ওই সময়ে। সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের মৌলভী ফজলুল করিম ও রাবেয়া খাতুনের সন্তান মো. এবাদুল করিম বুলবুল দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বীকন ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড এবং বীকন পয়েন্ট লিমিটেডেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আরো আছে ওরিয়ন গ্রুপ এবং কোহিনূর কেমিক্যালস কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর