অবশেষে রণভঙ্গ দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন ফরম নেননি তিনি। তার পক্ষে সমর্থকরা মনোনয়ন কিনলেও তিনি সেটি জমা না দিতে বলেছেন তাদেরকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম। তিনি বলেন- ফয়জুর রহমান বাদলের পক্ষে অনেক সহকর্মী আবেগ-আপ্লুত হয়ে মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছেন ভাই ফরম জমা না দেয়াই ভালো। তিনি নতুন নেতৃত্ব আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। হালিম আরো বলেন- দলের অনেকে মনোনয়ন কিনেছেন।
তাদের মধ্য থেকে নেত্রী যাকে ভালো মনে করবেন মনোনয়ন দেবেন। গত ৩দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ২৩ জন। এরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমবায় ও স্বনির্ভরতা বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, সদস্য জাকির হোসেন, মো. সাইফুর রহমান, কবির আহমেদ ভুঁইয়া ও মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম টিপু, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদা আক্তার শিউলি, ইতালি ও সুইডেন প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সিরাজুল হক রানা, আওয়ামী লীগ সমর্থক খন্দকার এনামুল নাছির, আলামিনুল হক ও মাঈন উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম জাকারিয়া, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু এবং আওয়ামী লীগ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা মুত্তাকিমা। বর্তমান সংসদ সদস্য বাদল সরে যাওয়ায় মনোনয়নের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এখন আলোচিত হচ্ছে তিনজনের নাম। তারা হচ্ছেন- কৃষক লীগের উপদেষ্টা এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন কামাল ও যুবলীগ নেতা একেএম মমিনুল হক সাঈদ। বাকিদের ডামি বা নামের প্রার্থী হিসেবে গণ্য করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।