এশিয়া কাপ জয়ের পর আয়ারল্যন্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এরপরই বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও সেরা হয়ে এক প্রকার চমকে দেয়া বাংলাদেশ নারী টি-২০ বিশ্বকাপে যেন একেবারেই অচেনা। আসরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬০ রানের বড় হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরেছে সালমা-রুমানারা। গ্রুপ ‘এ’-এর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ৩৯ বল হাতে রেখেই এই জয় পায় ইংলিশ নারী দল। গতকাল সেন্ট লুসিয়ায় ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। দলীয় ২ রানেই ওপেনার শারমিন সুলতানা (০) ফেরেন।
দলীয় মাত্র এক রান যোগ হতেই ফেরেন ফারজানা হকও (০)। একা ব্যাট হাতে লড়ে যান আরেক ওপেনার আয়শা রহমান। ৪ জন ক্রিকেটার শূন্য রানে ফিরে গেলে বাংলাদেশের স্কোর এক সময় দাঁড়ায় ৫৩ রানে ৬ উইকেট। সেখান থেকে জাহানারা আলমের ৭ বলে ১২ রানের এক ঝটিকা ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ নির্ধারিত ২০ ওভারে দাঁড়ায় ৯ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে একাই ৩ উইকেট নেন ক্রিস্টি গরডন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন নাটালি স্কিভার, আনয়া স্রুবসোল, লিনসে স্মিথ ও সোফি একলেকটন। সহজ এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুও ভালো হয়নি। দলীয় রানের খাতা না খুলতেই ফেরেন ওপেনার ড্যানিল ওয়েট। ১৩ রানে ও ৫১ রানে আরো দু’টি উইকেট হারালেও জয়ে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি ইংলিশদের। তবে মাঝে বৃষ্টি বাধা আসায় ৬৪ রানেই ম্যাচ থেমে যায়। বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে থাকায় ডাক ওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৭ উইকেটের জয় পায় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন সালমা খাতুন। এক উইকেট নেন খাদিজা তুল কুবরা। আসরে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৬ রানে আটকে দিয়ে ৪৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরটস: ইংল্যান্ড (ফিল্ডিং)
বাংলাদেশ নারী দল: ২০ ওভার; ৭৬/৯ (আয়শা ৩৯, গর্ডন ৩/১৬)
ইংল্যান্ড নারী দল: ৯.৩ ওভার; ৬৪/৩ (জোনস ২৮*, স্কাইভার ২৩)
ফল: ইংল্যান্ড ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ক্রিসটি গর্ডন (ইংল্যান্ড)