× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ম্যাচের লাগাম বাংলাদেশের হাতে

খেলা

ইশতিয়াক পারভেজ
১৪ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৫১ রানে হার, তাও তিনদিনে!  এমন ধাক্কা যেন নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। তাইতো ঢাকা  টেস্টে ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়। যার ছাপ রেখেছে টাইগারদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ও  বোলিংয়েও। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহীমের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট ৫২২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জবাব দিতে নেমে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত ৩২৩ রানের ফলোঅন এড়াতে ব্যর্থ তারা। ফলোঅন থেকে ১৮ রান বাকি থাকতেই ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাসাকাদজার দলের। স্পিনার তাইজুল ইসলামের রেকর্ড বোলিংয়ে ৯ উইকেটে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩০৪ রান। যদিও বাংলাদেশকে ভড়কে দিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন ব্রান্ডন টেইলর।
তবে শেষ বিকালে বাংলাদেশের স্বস্তি হয়ে আসে ২১৮ রানের বড় লিড। পেসার চাতারা ইনজুরিতে থাকায় তার আর মাঠে নামা হয়নি। যে কারণে শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। অন্যদিকে আজ তাদের ফলোঅনে ব্যাট করতে পাঠাবে কিনা তা জানানো হয়নি টাইগারদের পক্ষ থেকে। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘ওদের ফলোঅনে পাঠানো হবে কিনা এখনো আমাদের জানানো হয়নি। কাল (আজ) সকালে সিদ্ধান্ত  নেয়া হবে।’
২১৮ রানের বড় লিড নিয়ে বাংলাদেশ যদি আজ ব্যাট করতে নামলে কি হবে? কত রানের টার্গেট দিলে ঢাকা টেস্টে জয় সম্ভব মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দলের! মিরপুরের রহস্যময় উইকেটে তা বলা অবশ্য খুবই কঠিন। আর জিম্বাবুয়েকে ফলোঅনে পাঠিয়ে টাইগারদের সামনে আছে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের হাতছানিও। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেস্টে কোনো দলকেই ইনিংস ব্যবধানে হারাতে পারেনি।
গতকাল তৃতীয় দিনের শুরুটা বাংলাদেশ করেছিল টানা তিন মেডেন ওভারে। বলতে গেলে বোলিং দাপটের দারুণ আভাস ছিল। কিন্তু  ব্রায়ান চারি ও নাইটওয়াচম্যাচ  ডোনাল্ড টিরিপানো প্রথম ১০ ওভার কাটিয়ে দারুণ ভাবে। যদিও ১৯ রানে সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে পয়েন্টে ব্রায়ান চারির ক্যাচ দিয়েছিলেন কিন্তু সেটি ছাড়েন তাইজুল। এদিন শেষ পর্যন্ত দলের জন্য ফের স্বস্তি এনে দেন তাইজুলই। তিনি ফেরান টিরিপানোকে। তবে তৃতীয় উইকেটে টেইলরকে নিয়ে চারি গড়েন ৫৬ রানের জুটি। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির  আগে তাকে থামান মিরাজ। রিভিউয়েতে চারি ফেরেন ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রানে করে। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে ফের তাইজুল ঝলক। তার বোলিংয়ে দারুণ বিপদে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। লাইন বুঝতে না পেরে তাইজুলের বলে বোল্ড হন শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা। তাতেই ১৩১ রানে  ৫ উইকেট বিপদে জিম্বাবুয়ে। ধারণা করা হচ্ছিল হয়তো চা বিরতির আগে জিম্বাবুয়ে অল আউট হয়ে যাবে। কিন্তু ব্রেন্ডন টেইলর ও মুরের জুটিতে ক্রমেই বাংলাদেশ হারাতে থাকে নিয়ন্ত্রণ। টেইলর শুরু থেকেই খেলে গেছেন দারুণ নির্ভরতায়। মুর উইকেটে গিয়ে স্পিনে কিছু শট খেলে চাপ ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশকে।
দু’জনের জুটি ভীষণ ভাবে হতাশ ছড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ শিবিরে। বোলিং ও ফিল্ডিং দুটিতেই হতাশ করতে থাকেন টাইগাররা। তার নমুনা বদলি ফিল্ডার নাজমুল ইসলাম অপু ৭৫ রানে জীবন দেন মুরকে। তাইজুলের বলে টেইলরকে ৯৪ রানে একই সঙ্গে ক্যাচ ও স্টাম্পিং করার সুযোগ হাতছাড়া করেন মুশফিকও। এই জুটিতেই জিম্বাবুয়ের রান ছুটছিল তিনশর দিকে। এমন অবস্থায় দলের  ত্রাতা হয়ে আসেন আরিফুল হক। ৯২তম ওভারে প্রথম বল তুলে নেন। নিজের প্রথম ওভারেই দারুণ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ মুর। টেস্টে নিজের আগের সেরা ৭৯ ছাড়িয়ে মুর ফিরেছেন ৮৩ রানে। তার কিছুক্ষণ পরই  টেইলর সেঞ্চুরি তুলে নেন।
২৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি, দেশের বাইরে প্রথম। বিদেশের মাটিতে আগের ১২ টেস্টে তার ফিফটি ছিল কেবল একটি। টেইলর যখন বড় বাধা হয়ে উঠছিল তা উড়িয়ে দেন মিরাজ ও তাইজুল। মিরাজকে সুইপ করেছিলেন টেইলর, তাইজুল স্কয়ার লেগে পুরো শরীর শূন্যে ভাসিয়ে লুফে নেন চোখ ধাঁধানো এক ক্যাচ। সেই সঙ্গে ব্যাটসম্যান রেজিস চাকাভাকে ফিরিয়ে তাইজুল পূর্ণ করেন ৫ উইকেট। সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে ৬ ও ৫ উইকেটের পর তাইজুল আবারো নিয়েছেন ৫ উইকেট। স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশের হয়ে টানা তিন ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া সাকিব আল হাসান ও এনামুল হক জুনিয়রের রেকর্ড।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর