বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এ সংক্রান্তে রিটের ওপর গতকাল শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। গত ১১ই নভেম্বর খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী নওশাদ জমির এ রিট আবেদনটি করেন। বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসাসেবার নির্দেশনা চেয়ে এর আগের করা রিট আবেদনটি গত ৪ঠা অক্টোবর নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে ৬ই অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে কেবিন ব্লকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
সেখানে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ে তার চিকিৎসা চলছিল। ৩৩ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৮ই নভেম্বর তাকে আবারো কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। ওই দিন কারাগারের বিশেষ আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজির করা হয় খালেদা জিয়াকে। আদালতের কার্যক্রম শেষে আবারো তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। রায়ের পর থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। এই মামলায় আপিল শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।