সিলেটে ২০ দলীয় জোটের কাছে দুটি আসন চায় খেলাফত মজলিস। জোটের শরিক হিসেবে ভোট ব্যাংক শক্তিশালী থাকায় তারা এ দুটি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। এর মধ্যে মনোনয়ন না পেলেও তারা দলীয় প্রতীক টেকানোর খাতিরে একটি আসনে নির্বাচন করবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে সিলেটে খেলাফত মজলিস ন্যায্য হিস্যা পায়নি। জোটের দুর্দিনেও তারা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। এ কারণে এবার তারা সিলেটে ছাড় দিতে রাজি নয়। সিলেট বিভাগেও তারা পাঁচটি আসন চায়। সিলেটের যে দুটি আসন চেয়েছে এর মধ্যে রয়েছে সিলেট-২ ও সিলেট-৩ আসন।
সিলেট-২ আসনটি হচ্ছে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর আসন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। ইলিয়াসের পর এ আসনের হাল ধরে আছেন ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা। এ আসনে খেলাফত মজলিস থেকে মনোনয়ন চান সাবেক ছাত্রনেতা ও খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. মুনতাসির আলী। মো. মুনতাসির আলী জানিয়েছেন, জোটগতভাবে না দেয়া হলেও প্রতীক টিকিয়ে রাখার খাতিরে আমরা এ আসন থেকে নির্বাচন করবো। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরে তাদের মাদরাসা কেন্দ্রিক ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভোট রয়েছে। বিগত উপজেলা নির্বাচনে তারা নিজেদের প্রার্থী দিয়ে ভোট যাচাই করেছে। এ ছাড়া তিনি নিজেও এ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এদিকে, সিলেট-৩ ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জ আসনে দলের মনোনয়ন চান সিলেটের যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। তিনি এ আসনে প্রার্থী হতে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীর অভাব নেই। অতীতে আসনে ভোট ব্যাংকের প্রমাণ দেখিয়েছে বিএনপি। তবে, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তাকে খেলাফত মজলিস থেকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। খেলাফত মজলিস দেশের সব আসনে প্রার্থী দিচ্ছে না। যেখানে যেখানে ভোট রয়েছে এবং পাস করার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব আসনই চাচ্ছে খেলাফত মজলিস। দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না পেলে দলও সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানান তিনি।