× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-৫ / চলছে ভোটের হিসাবনিকাশ

এক্সক্লুসিভ

উৎপল রায়
১৪ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

নির্বাচন কমিশনের বিধি-নিষেধের কারণে আপাতত প্রচার-প্রচারণায় কিছুটা ভাটা পড়েছে ঢাকা-৫ আসনে। তবে, এর মধ্যেও ঘরোয়াভাবে চলছে ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতি। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও চেষ্টায় আছেন নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়ার। চলছে ক্ষণ গণনা। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি উল্লেখ করার মতো হলেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের অনেকেই মামলায় বিপর্যস্ত, কেউবা কারাগারে, আবার কেউ অনেকটা  আত্মগোপনে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রত্যাশা তাদের। একই সঙ্গে ভোটার ও এলাকাবাসীরও প্রত্যাশা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট। সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হলেই এই আসনের নির্বাচনী লড়াই জমে উঠবে বলে প্রত্যাশা সবার।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯ ও ৫০ নং  ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ডেমরা, দনিয়া, মাতুয়াইল ও সারুলিয়া ইউনিয়ন ও কদমতলীর একাংশ নিয়ে  গঠিত ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসন। সরজমিন এই নির্বাচনী আসনের বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনী আবহ এখনো শুরু না হলেও প্রার্থী, ভোটার ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে ভোটের হিসাবনিকাশ।  রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা যেমন নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তেমনি ভোটাররাও হিসাব কষছেন।

আসন পুনর্বিন্যাসের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা। সে সময় তিনি পরাজিত করেছিলেন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদকে। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হন হাবিবুর রহমান মোল্লা। এর আগে ১৯৯৬ সালে অবিভক্ত ডেমরা-শ্যামপুর (সাবেক ঢাকা-৪)  আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছিলেন তিনি। সেসময় তিনি পরাজিত করেন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদকে। ২০০১ সালের নির্বাচনে সালাহউদ্দিন আহমেদের কাছে হেরে যান হাবিবুর রহমান মোল্লা। অতীতের বেশ কয়েকটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাদের দুজনের নামই শোনা যাচ্ছে বেশি। যদিও তাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো প্রার্থীও রয়েছে দলের অভ্যন্তরেই। তবে, প্রার্থী যেই হোন জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দু’দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছেন বর্তমান এমপি ও ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা। এই আসনে সরকারি দলের আরো যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এমন অন্তত চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্না, বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে এগিয়ে আছেন দলটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, ডেমরা থানা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন রতন, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার বাদল সরদার,  মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন ভূঁইয়া নান্টুর নাম শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন রতন নাশকতার মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, মামলা ও ধরপাকড়ে বিপর্যস্ত তারা। নির্বাচনের আগে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড চান তারা। তাহলেই কেবল নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে। তাদের দাবি যদি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় তাহলে এই আসনে বিএনপির প্রার্থীই বিজয়ী হবে। জানা গেছে, এই আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ। ইতিমধ্যে দল থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তিনি।

এদিকে ঢাকা-৫ আসনে নির্বাচন নিয়ে চলছে স্থানীয় এলাকাগুলোতে আলোচনার ঝড়। চলছে বিশ্লেষণ। যাত্রাবাড়ী, ডেমরার বিভিন্ন এলাকার ভোটার ও সাধারণ মানুষ ভোটের ক্ষণ গুনছেন। তবে, তাদের প্রত্যাশা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট। এক্ষেত্রে সব দলের নির্বাচনে আসাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা। ওই নির্বাচনী এলাকার সকল শ্রেণি- পেশার মানুষের প্রত্যাশা একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও জমজমাট নির্বাচন হবে এবার। যাত্রাবাড়ীর আব্বাসউদ্দিন রোডের বাসিন্দা জহিরুল হক বলেন, যদি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে তবে এই আসনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ডেমরার পশ্চিম হাজীনগরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রার্থী কে হবেন এ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। ডেমরার পাড়া ডগাইরের আলামিন রোডের বাসিন্দা শফিক আহমেদ বলেন, আমরা হিংসা ও হানাহানির রাজনীতি ও নির্বাচন চাই না। সকল রাজনৈতিক দল মিলে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে অংশ নিক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর