লাহোর হাইকোর্ট সোমবার সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, শাহিদ খাকান আব্বাসি ও সাংবাদিক সাইরিল আলেইদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানি মুলতবি করেছে। এ বছরের ১১ই মে সাংবাদিক আলেইদাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন নওয়াজ শরীফ। এতে তিনি স্বীকার করে নেন যে, ২০০৮ সালে যারা মুম্বইয়ে আক্রমণ করেছিল, তারা পাকিস্তান থেকে গিয়েছিল। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। নওয়াজ শরীফের বক্তব্যের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি সহমত পোষণ করায় তাকেও এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ জানানো হয়। মামলার বাদী আবেদনে বলেন, এটা সপষ্ট যে আব্বাসি তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। কেননা ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে পেশাগত আচরণ প্রভাবিত করার কোনো অনুমতি তার নেই। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে শরীফও রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন।
পাকিস্তানি সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধে অপরাধী। তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার আব্বাসি এবং আলেইদা উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী নাসির ভুট্টো আদালতে ব্যক্তিগতভাবে নওয়াজ শরীফকে উপস্থিতি থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে এক বিচারপতি বলেন, অব্যাহতি পাওয়ার আবেদনে বাধ্যবাধকতা আছে এমন বিষয়ের ঘাটতি রয়েছে। এ সময় নাসির ভুট্টো জানান, এসব সমস্যা ঠিকঠাক করে আবার আবেদন করা হবে। অন্যদিকে, সাংবাদিক আলেইদার আইনজীবী তাকে বিদেশে যাবার অনুমতি চান। এজন্য তাকে একটি অবেদন করতে বলা হয় এবং আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস দেন বিচারক। মামলার বাদী এদিন ইসলামাবাদে কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন নি। ফলে আগামী ১৯শে নভেম্বর নতুন শুনানির দিন ধার্য করে আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।