কর মেলার প্রথম দিনেই ২১৮ কোটি ৪২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা কর আদায় হয়েছে। আর আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিয়েছেন ৪৬ হাজার ৪০১ করদাতা। সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান কর মেলায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৯৯ জন কর সংক্রান্ত সেবা নিয়েছেন। সেবা নিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৯৯ জন। গতবারের মেলার প্রথম দিনের চেয়ে কর বেড়েছে ৫ শতাংশ। রিটার্ন জমার সংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশের মতো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি চার জেলা ও আট উপজেলায় কর মেলা শুরু হয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় মেলা হচ্ছে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। রাজধানীর মেলা উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কর মেলা নিয়ে করদাতাদের মধ্যে প্রতি বছরই ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সারা দিনই রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবের কর মেলায় বেশ ভিড় ছিল। করদাতারা কেউ রিটার্ন জমা দিয়েছেন, কেউ কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিয়েছেন। রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে মেলা চলবে ১৯শে নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় করদাতারা আয়কর বিবরণীর ফরম থেকে শুরু করে কর পরিশোধের জন্য ব্যাংক বুথও পাচ্ছেন। করদাতাদের সহায়তা করার জন্য সহায়তা কেন্দ্র আছে। একই ছাদের নিচে ই-টিআইএন, পুনঃনিবন্ধন, রিটার্ন জমার সব সেবা মিলছে। রাজধানী বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবের কর মেলায় ৪৩টি রিটার্ন বুথ; ৩১টি হেল্প ডেস্ক; ৩টি ই-পেমেন্ট বুথ; নারীদের জন্য তিনটি বুথ; প্রতিবন্ধী, সিনিয়র নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি করে বুথ আছে। এ ছাড়া করের টাকা পরিশোধের জন্য মেলায় সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের বেশ কয়েকটি বুথ আছে। রাজধানীর কর মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এক সময় ছিল যখন কর দিতে অনাগ্রহ ছিল। সবাই মনে করত, কর দিলাম আজকে, আর সারা জীবনের জন্য একটা প্যাঁচে পড়ে গেলাম। এই মনোভাব এখন আর নেই। অসংখ্য যুবক এখন নিজ উদ্যোগেই কর দেয়। এটি আমাদের জাতীয় জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, এনবিআর সদস্য জিয়াউদ্দিন মাহমুদ। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।