× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানিকগঞ্জে ফের নৌকা চান দুর্জয়-মমতাজ

এক্সক্লুসিভ

রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
১৪ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

মানিকগঞ্জ-১ এবং মানিকগঞ্জ-২ আসনে দ্বিতীয় বারের মতো নৌকা প্রতীক পেতে মাঠে নেমেছেন দুজন তারকা ব্যক্তিত্ব। এদের একজন হলেন একসময়কার নন্দিত ক্রিকেট তারকা বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম অধিনায়ক এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং আরেক জন হচ্ছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। দ্বিতীয়বারের মতো তারা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দুজনই শতভাগ আশাবাদী। গেল ৫ বছরের শাসনামলে তারা তাদের নির্বাচনী এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময়ই পাশে ছিলেন বলেই জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন বলে তাদের দাবি।

এই দুই তারকার মধ্যে সাবেক ক্রিকেটার  নাঈমুর রহমান দুর্জয় রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার বাবা মরহুম এএম সায়েদুর রহমান প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর তার মা নীনা রহমান বর্তমান জেলা মহিলা লীগের সভাপতি। আর মমতাজ বেগম দরিদ্র ঘরের সন্তান হলেও তার সংগীত তাকে নিয়ে গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তায় এবং জায়গা করে নিয়েছেন রাজনীতিতে।


মানিকগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় ১৯৯৫ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি। ক্যারিয়ারে রয়েছে অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ছয় উইকেট নেয়ার দুর্লভ কৃতিত্ব। এরপর কার্যত ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। তার পিতা মরহুম এম সায়েদুর রহমান ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ক্যাবিনেটের সংসদ সদস্য ছিলেন। বাবার রাজনীতির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোট বেলা থেকেই দুর্জয়ের স্বপ্ন ছিল তিনি রাজনীতিতে পা রাখবেন। তার ইচ্ছানুযায়ী ক্রিকেট মাঠ থেকে সোজা পদার্পণ করেন রাজনীতির মাঠে। খেলার মাঠে যেমন চৌকস খোলোয়াড় হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি  করে তুলেছিলেন ঠিক মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে রাজনৈতিক মাঠেও শক্তপোক্ত অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে রাজনীতির মাঠে অল্পতেই জনপ্রিয় হয়ে উঠায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে  পেয়ে যান নৌকার টিকিট। তাও আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নয় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জাসদ প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের দাবি, যখন ক্রিকেটার ছিলাম তখন সারা দেশের মানুষের অসম্ভব রকমের ভালোবাসা পেয়েছিলাম। রাজনীতিতে পা রাখার পরও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের একই রকম ভালোবাসা পেয়ে আসছি। ২০১৪ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময়ই  পাশে থাকছি। আমি আমার নিজের প্রতিশ্রুতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার  নির্বাচনের যে ইশতেহার ছিল সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। তার একজন সৈনিক হিসেবে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করতেও সক্ষম হয়েছি। এখনো কিছু অসমাপ্ত কাজ রয়ে গেছে, তাই জনপ্রতিনিধি ও  সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে সে কাজগুলো শেষ করা সম্ভব হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই বিবেচনা করবেন। আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ দল আমাকে আবারো  মনোনয়ন দেবেন বলে আমি  আশাবাদী।

অপরদিকে আরেক তারকা নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম দ্বিতীয়বারের মতো মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের টিকিট পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। মমতাজ বেগমকে তার আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন বাস্তবায়নে জীবনে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অর্থবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন না ঠিকই কিন্তু তার গলায় রয়েছে সুর। সেই সুরের আলোয় আলোকিত হয়ে সারা দেশের মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন। গানের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হিসেবে তাকে আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো সংসদে পাঠায়। এরপর ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে তার হাতে তুলে দেয়া হয় নৌকা প্রতীক নামের সোনার হরিণ। সেখানেও সফলতা পান। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য। সামনের নির্বাচনে আবারো নৌকা প্রতীক পাবেন এ বিশ্বাস তার রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর