× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-১২ /আওয়ামী লীগের একক কামাল, বিএনপিতে অপেক্ষা

দেশ বিদেশ

সিরাজুস সালেকিন ও জিয়া চৌধুরী
১৪ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলা নগর ও রমনার একাংশ নিয়ে সংসদীয় আসন ঢাকা-১২। আসনটির ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। চলতি মেয়াদে এখানকার এমপি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। এবারও এ আসনে দলের একক প্রার্থী তিনি। পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি এ আসনে অনেকটা সার্বজনীন প্রার্থী। গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এখানে বিএনপি থেকে আগের নির্বাচনে ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন আহমেদ দলের হয়ে লড়েছিলেন।
এবারও তিনি প্রার্থী হচ্ছেন এটা অনেকটা নিশ্চিত। তবে বিকল্প প্রার্থীও আসতে পারেন। সামনের কয়েক দিনের মধ্যেই এটি পরিষ্কার হবে। এ আসনে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মাঠে নেই আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা। রাজাবাজার, তেজগাঁও, শেরেবাংলা নগর এলাকা সরজমিন ঘুরে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানা গেছে। নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান খান ইরান বলেন, শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী দল ও সাধারণ মানুষও আসাদুজ্জামান খানকে ঢাকা-১২ আসনে আবারো দেখতে চান। বিগত সময়ে জনগণের পাশে কে কতটুকু ছিলেন তা জনগণ দেখেছে। সামনে নির্বাচনে আসাদুজ্জামান খান আবারো নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করার সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন যুবলীগের এই নেতা। এই আসনে আরও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ত্রাণ ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। তবে এখানে আসাদুজ্জামান খান কামালের বিকল্প নিয়ে দলীয় হাইকমান্ড অন্য কিছু ভাবছে না।
বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন আহমেদ নির্বাচন করেছিলেন। দলের সংকটময় মুহূর্তে নেতাকর্মীদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। যে কারণে তিনি আশাবাদী এই আসনে প্রার্থী হতে। ঢাকা-১২ আসনের প্রার্থী হিসেবে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের নাম শোনা যাচ্ছে। প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সাবেক কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আসনটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া আর কারো তেমন কোনো প্রচারণা-পোস্টার চোখে পড়েনি। জানা গেছে, ভোটারদের একটা বড় অংশ বৃহত্তর নোয়াখালী ও চাঁদপুরের বাসিন্দা। এমন অবস্থায় কৌশল ধরে হিসাবে ওই অঞ্চলের একজন প্রার্থীকে রাখতে চায় তৃণমূলের নেতারা। পাশাপাশি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার শ্রমিক ভোটাররা নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেন নির্বাচনে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর