× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-১৫ /আগাম পোস্টারে অলিগলি ঢেকে আছে

দেশ বিদেশ

কাজী সোহাগ
১৪ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণার আগেই আগাম প্রচারণা শুরু করেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাদের পোস্টার ও ব্যানারে এখনো ছেয়ে আছে এলাকার অলিগলি। তবে বিরোধীদের তৎপরতা এখনো দৃশ্যমান নয়। ঢাকার মিরপুর ও কাফরুল এরিয়া নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৫ আসন। মিরপুরের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতার কয়েক জন ভোটার মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচন এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। অতীতে নির্বাচন ঘিরে নানা অঘটন ঘটেছে এই আসনে। এবার কি হবে জানি না। ভোটাররা জানান, আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য মিরপুর বরাবরই পরিচিত এলাকা।
তাই এখানে শঙ্কাটাও থাকে বেশি। মূলত দলীয় কোন্দলের প্রভাব পড়ে আম-জনতার ওপর। এ আসনে রয়েছে নেতায়-নেতায় গ্রুপিং ও কোন্দল। সার্বিক পরিস্থিতি বলতে গিয়ে কয়েক জন ভোটার জানান, ঢাকা-১৫ আসনে মূলত ভোটযুদ্ধ হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। এখানে আওয়ামী লীগের নেতা বেশি, জনপ্রিয়তা কম। আবার বিএনপির নেতা নেই, আছে জনসমর্থন। আগামী নির্বাচনে এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের চার হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেনÑবর্তমান এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মেজবাউল ইসলাম সাচ্চু ও এম সাইফুল্লাহ সাইফুল। এ ছাড়া আরো কয়েকজন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা জানান, বর্তমান এমপির জনসম্পৃক্ততা আগের মতো নেই। অসুস্থ ও দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে তিনি অনেকটা নীরবে নিভৃতে থাকেন। অন্যদিকে মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও মেজবাউল ইসলাম সাচ্চু সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। কিন্তু তৃণমূল জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কম। আরেক প্রার্থী সাইফুল্লাহ সাইফুলের সাংগঠনিক তৎপরতা কম তবে স্থানীয় হিসেবে জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন কে নিচ্ছেন তা এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এ আসনের ভোটারদের। স্থানীয় নাকি অতিথি কোন নেতাকে এ আসনে চাপিয়ে দেয়া হবে তা নিয়ে টেনশনে ভোটাররা। জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও সমানতালে জনসংযোগ করছেন এ আসনে। সব মিলিয়ে এবার ‘অন্যরকম’ ভোটযুদ্ধের অপেক্ষায় ঢাকা-১৫ আসনের ভোটাররা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অলিগলিতে চলছে হিসাব মেলানোর প্রতিযোগিতা। আওয়ামী লীগের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে এ আসনের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার। প্রায় একতরফাভাবে প্রতিবারই তিনি এখান থেকে মনোনয়ন লাভ করেন। এবার বিনাযুদ্ধে ছাড় পাচ্ছেন না প্রবীণ এই নেতা। তার পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছে নানা প্রচারণা। তার পক্ষের লোকজনের কথাÑ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করায় এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত। মিরপুরে তার অবদান অনেক। এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা বা মন্দির নেই যেখানে তিনি অনুদান দেননি। অনেক ধরনের বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও তিনি এলাকার রাস্তা প্রশস্ত করেছেন। আসলে যিনি কাজ করেন তার বদনাম হয়। কামাল আহমেদ মজুমদারের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, তারপরও নেত্রী যদি কাউকে দেন তাহলে সে সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে আমাদের অনুরোধ যারা এই এলাকার সন্তান তাদের যেনো দেয়া হয়। এদিকে ঢাকা-১৫ আসনে বিএনপির রয়েছে অন্যরকম মনোনয়ন চ্যালেঞ্জ। স্থানীয় কোনো নেতা এ আসন থেকে সাধারণত মনোনয়ন পান না। বরাবরই চাপিয়ে দেয়া নেতাদের পক্ষে নির্বাচন যুদ্ধে নামতে হয় এ আসনের ভোটারদের। তাই ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অতিথি নেতাদের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে তারা অনেকটাই ক্লান্ত বলে জানান। শেষ জাতীয় নির্বাচনে অতিথি প্রার্থী ছিলেন হামিদউল্লাহ খান। এবার শোনা যাচ্ছে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। গতবার তিনি নির্বাচন করেছিলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে। বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দাবি এবার যেন স্থানীয় কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সেদিক দিয়ে এগিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তাই বিএনপি সমর্থকদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে কে পাচ্ছেন মনোনয়ন? এ আসন  থেকে নির্বাচন করতে ২০দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমান গতকাল মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর