× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

অনলাইন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ১৪, ২০১৮, বুধবার, ৭:০৫ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি হোটেল কক্ষে প্রতিবন্ধী এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক জাকির হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের এক কর্মীর সহযোগিতায় আদালতে মামলা দায়েরের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশন (পিবিআই) অভিযুক্ত ধর্ষককে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মেট্রো) মো. মইনউদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত জাকির হোসেন প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। হোটেলের নির্ধারিত কক্ষও সে দেখিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ভিকটিমও আসামিকে শনাক্ত করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য জাকিরকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের সিএসপিবি প্রকল্পের কর্মকর্তা সানোয়ারা বেগম জানান, ধর্ষিতা তরুণী শৈশব থেকে চট্টগ্রাম নগরীর রউফাবাদে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আশ্রয়কেন্দ্র মা মণি নিবাসে আশ্রিতা ছিলেন। দুইবছর আগে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় তাকে সিইপিজেডে একটি কারখানায় চাকরি দেওয়া হয়। সেখানে একটি হোস্টেলে থাকতেন ওই তরুণী ।

গত ৩রা অক্টোবর পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে জাকির হোসেন তাকে ফুসলিয়ে নগরীর স্টেশন রোডে হোটেল গেস্ট ইনর দ্বিতীয় তলায় ১১৮ নম্বর কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।
একদিন পর ওই তরুণী বিষয়টি মা মণি নিবাসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানান। তবে প্রথমে হোটেলের ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে পারেনি ওই তরুণী।

সানোয়ারা বেগম বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা প্রথমে ডবলমুরিং থানায় মামলা করার জন্য যাই। সেখান থেকে আমাদের খুলশী থানায় পাঠানো হয়। খুলশী থানা থেকে কোতোয়ালী থানায় পাঠানো হয়। কোতোয়ালী থানা থেকে পুলিশ ওই তরুণীর দেখানো মতে হোটেল গেস্ট ইনে যায়। তবে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ার কথা বলে মামলা নেওয়া হয়নি।

এরপর আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যায়। সেখানে দেরি করে যাবার অজুহাতে তাকে তিন দফা পরীক্ষা না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গত ২৪শে অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়। আদালত মামলটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) কাজী এনায়েত কবির বলেন, মামলা তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা খুঁজে পাওয়ায় অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর