মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা আমন ধান কর্তন শুরু হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার ভুজবল (কাইঞ্জার হাওর) এলাকায় জমির ধান কেটে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের শুভ সূচনা করা হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায় সারা দেশে কৃষি বিভাগের অধীনে এ ধরনের ৭টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন রয়েছে। চীন সরকার এই মেশিনগুলো উপহার হিসেবে দিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহজাহান, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কাজী লুৎফুর বারী, মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন, মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম উমেদ আলী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কান্তি দত্ত, শ্রীমঙ্গল উপজেলা অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন মুনালিছা সুইটি ও জেলা ও উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা জিয়াউল হুদা, কৃঞ্চা রাণী দাস, রিপন কান্তি, দেবাশিষ দে, লিটন চন্দ্র দে ও অভিজিত রায় চৌধুরী প্রমুখ। কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা ধান কর্তন এই সময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যখন শ্রমিকের অভাব ঠিক তখনই কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা ধান কর্তন শুরু হয়েছে। দেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে সেই সঙ্গে বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। যেন আধুনিক যন্ত্রপাতি কৃষিকাজে ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা ধান কর্তন করলে শ্রমিক বাবদ খরচ অনেক কম হয়, সময়ও সাশ্রয় হয়। এই মেশিন দ্বারা প্রতি ঘণ্টায় ৩ বিঘা জমির ধান কর্তন মাড়াই ও ঝাড়াই করা যায়। তাছাড়া হাওর অঞ্চলে দুর্যোগকালীন অল্প সময়ে কম খরচে ধান কর্তন করে ঘরে তোলা সম্ভব। সরকার কৃষকদের সুবিধার জন্য আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকি দিয়ে প্রদান করছে বলেও জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কৃষিজীবী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।