× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীগঞ্জে মহাজোট প্রার্থী নিয়ে চমক

শেষের পাতা

এম এ বাছিত, নবীগঞ্জ থেকে
১৫ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ভোটের উৎসব জমে উঠেছে। কে হচ্ছেন মহাজোট প্রার্থী এ নিয়ে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে। গত নির্বাচনে বিনা ভোটে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রবাসী জাপা নেতা আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু বিজয়ী হন। আসন্ন নির্বাচনে তাকে নিয়ে বলার মতো আলোচনা নেই। তার সমর্থিত কর্মী-সমর্থকদের মাঝেও তেমন উল্লাস পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

তাকে নিয়ে জাতীয় পার্টিতে ক্ষোভ রয়েছে। এমপি বাবুর বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীকে অবজ্ঞা ছাড়াও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও তিনি ২০১১ সালের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জামানত হারিয়েছিলেন।
চমক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা জাপার সভাপতি আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক। বর্তমান জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ড সদস্য শিল্পপতি আলহাজ আতিক হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে তাকে নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। এক্ষেত্রে আবারো বঞ্চিত হতে পারেন প্রয়াত দেওয়ান ফরিদগাজী তনয় শাহ নেওয়াজ মিলাদগাজী। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধোঁয়াশা কেটে যাওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।

এনিয়ে দুই প্রার্থীর তরফ থেকে অপেক্ষার কথা বলা হয়েছে। মহাজোটের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোট থেকে নির্বাচন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। দলগত রফাদফায় হবিগঞ্জ জেলায় চারটি নির্বাচনী এলাকা থেকে যে কোনো একটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আলহাজ আতিকুর রহমান আতিককে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকা থেকে জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক। ওই এলাকার বর্তমান এমপি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলহাজ আবু জাহিরকে নিয়ে বিপত্তি দেখা দেয়। দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে সম্প্রতি জাহিরের সমর্থনে বিশাল শোডাউন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে শক্তিশালী লবিং করেন অ্যাডভোকেট আবু জাহির। নাটকীয় রফাদফায় হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন আলহাজ আতিক। ফলে আশাবাদী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ নেওয়াজ মিলাদগাজী সমর্থকদের আবারো হতাশ হতে হচ্ছে। দশম জাতীয় নির্বাচনে মিলাদকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হলেও শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়।

জোটের সমীকরণে বিনা ভোটে নির্বাচিত হন আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু। ওদিকে, রাজনীতির গতিপথ নিয়ে সরব খ্যাতিমান ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান আতিক। বর্তমানে তার নেতৃত্বেই নিস্তেজ জাপা সতেজ হয়েছে। মহাজোট থেকে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা আলহাজ আতিকের প্রার্থিতা নিয়ে উপজেলা জাপার আহ্বায়ক শাহ আবুল খয়ের বলেন, দল এবং জোটের সিদ্ধান্ত আমাদের মানতে হবে। আমার অনেক অভিমান ছিল। বর্তমান এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু আমাকে ঢাকায় যেতে অনুরোধ করেছেন। দেখা যাক কি হয়। নির্বাচনী এলাকা বাহুবল উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম এ জলিল তালুকদার বলেন, এক সময়ের জাপার ঘাঁটিখ্যাত নির্বাচনী এলাকায় বিনাভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে মুনিম চৌধুরী বাবু পার্টির নেতাকর্মীকে নাজেহাল করেন, অবহেলা করেন। দলের স্বার্থে, নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আতিকের বিকল্প নেই।

নবীগঞ্জ পৌর জাপার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুরাদ আহমদ বলেন, জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু ভিন্ন দলের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেছেন। দলের চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতি তার কোনো আনুগত্য ছিল না। তিনি বক্তব্যের শুরু এবং শেষে ভিন্ন একটি দলের নেতার নাম নিতেন। এ ছাড়াও এখানে যেকোনো পরিস্থিতিতে বিএনপি জোটের প্রার্থী সাবেক এমপি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া শক্তিশালী প্রার্থী। তার বিপরীতে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মহাজোট থেকে আতিক সাহেবের বিকল্প নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর