× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুলিশের ওপর হামলা পরিকল্পিত- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা ও গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন। বিএনপি’র পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি এটা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। যখন দেশ একটি সুন্দর নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যখন শিডিউল ঘোষণা করেছে, মানুষ যখন একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে, সেই সময়ে এটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি নাশকতা তৈরি করে, ধূম্রজাল সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের একটা অপচেষ্টা এটা। পুলিশের ওপর হঠাৎ আক্রমণ সেটাই মনে করিয়ে দেয়।

এ ঘটনাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাই যখন নির্বাচনের জন্য উন্মুখ তখনই এ ঘটনা ঘটলো।
স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে, এটা উদ্দেশ্যমূলক, এটা নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে ১৩ পুলিশ ও তিন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশের দুটি নতুন গাড়ি তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। একটি এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার-সাঁজোয়া যান) ভেহিক্যাল সেখানে ছিল, সেই এপিসি ভেহিক্যালেও তারা আগুন ধরানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সক্রিয় থাকায় এপিসি ভেহিক্যালটা রক্ষা পায়।

এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও মেজর আকতার আসছিলেন মনোনয়ন পেপার সাবমিট করতে। এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি। পুলিশ আগে থেকেই বলেছিল যে, সেখানকার (নয়াপল্টনের) দুটি রাস্তার একটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে। তারা সম্পূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে এই দুই গ্রুপ ও অন্যান্য গ্রুপ এসে অবস্থান করছিল। পুলিশ খেয়াল করে ওখানে উত্তেজনা সৃষ্টি, ধাক্কাধাক্কি ও অসহিষ্ণু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এরপর দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের ওপরে তারা ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। যখন পুলিশ বলছিল, দুই রাস্তার একটি খুলে দেয়ার জন্য। সেই সময় একটা ধাক্কাধাক্কি ও পুলিশের ওপর আক্রমণ আপনারা সবাই লক্ষ্য করেছেন। ধানমণ্ডিতেও আওয়ামী লীগ অফিসে মনোনয়ন প্রার্থীদের কারণে রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, নয়াপল্টনে কেন নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলো- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ, আর ধানমণ্ডিরটা বাইলেন, একটা রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় ঢোকার জন্য সেই রাস্তা।

আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেই রাস্তাটিও খালি রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ধরনের পরিস্থিতি করে সরকার নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিডিও ফুটেজে যা আছে, সাধারণ মানুষ যা দেখেছে- আমি সেটারই বর্ণনা করেছি। বিএনপি নেতা কী বলেছেন সেগুলোকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই না। আমাদের পুলিশ তাদের (বিএনপি) নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই সেখানে অবস্থান করছিল। তারা (পুলিশ) আগেভাগে কিছুই করেনি। দুই নেতা যখন ঢুকলেন তখনই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে, পুলিশ মার খেয়েছে। পুলিশের মারমুখী আচরণ ছিল না। মারমুখী আচরণ থাকলে ১৬ পুলিশ আহত হতো না।

আমরা মনে করি পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে এবং আহত হয়েছে। নির্বাচনের আগে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ তৈরি আছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনো রাজনৈতিক মামলা রুজু করেনি, ভাঙচুর কিংবা বাধা প্রদান কিংবা ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা আইসিটি অ্যাক্টের মামলা এখানে হয়েছে। বিএনপি জোট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় একটা লিস্টও দিয়েছে। সেই লিস্টটা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি যদি তাদের কথার সত্যতা আমরা পাই তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমরা অলরেডি কাজ শুরু করেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর