বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল লেক কেমোর নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে মধ্যে বলিউডের স্বপ্নের বিয়ে বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার সকালেই অনুষ্ঠিত হযেছে শিখ রীতি অনুযায়ী ’আনন্দ করজ’-র মধ্য দিয়ে দীপিকা ও পাড়–কোনের মধ্যে মিলন। এই অনুষ্ঠানে নিয়মমত দুই পরিবারের ঘনিষ্টরা অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। গত বুধবার দক্ষিন ভারতের কোঙ্কনী মতে ’ফুল মুড্ডি’ অনুষ্ঠান হয়েছে। আংটি বিনিময় ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে দীপিকা ও রণবীর সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন। এদিন রণবীরের পরিবারের ইচ্ছানুসারে আনন্দ করজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। লেক কোমোর ভিলা দেল বালবিয়ানেল্লোতেই হয়েছে এই অনুষ্ঠান। শিখ রীতি অনুযায়ী আনন্দ করজ হল হবু দম্পতির মিলনানুষ্ঠান।
যজ্ঞ ও পুজোপাঠের মাধ্যমে হয় এই অনুষ্ঠান। নির্ধারিত মন্ত্র পাঠের সময় গুরু গ্রন্থ সাহিবকে চার বার প্রদক্ষিন করেন হবু বর ও বউ। তখন তাদের দুজনে এক টুকরো কাপড় দিয়ে বাঁধা থাকেন। যদিও ভারতের গুরুদোয়ারা প্রবন্ধক কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী গুরুদোয়ারা ছাড়া আনন্দ করজ অনুষ্ঠান করা যায় না। তবে এক্ষেত্রে গুরুদোয়ারার বাইরেই এই অনুষ্ঠান হযেছে। তবে একজন শিখ পুরোহিত মন্ত্রপাঠ করেছেন। ভারতে আনন্দ করজ ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯০৯ সালে প্রথম তৈরি হয়েছিল। অবশ্য ২০১২ সালে সংশোধনের মাধ্যমে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের পরিবর্তে আনন্দ করজ ম্যারেজ অ্যব্টের মাধ্যমে বিয়েকে বৈধতার স্বীকৃতি দেওয়া হযেছে। গত বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানের কোনও ছবি পাওয়া না গেলেও বর ও বউয়ের দুটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে বিয়ে শেষে বেরিয়ে আসছেন দীপিকা ও রণবীর। দীপিকাকে লাল রঙের শাড়িতে দারুণ লেগেছে। গলায় ছিল নেকলেস ও তিন লহরি হার। মাথায় সিঁথিতে জড়োয়া সিঁথি। খোপায় জুঁয়ের গোড়ে। মুখের কোনে তৃপ্তির হাসি। আর রণবীরের পরনে ছিল সোনালি কাজ করা সাদা শেরওয়ানি। দীপিকা ও রণবীর বিয়ের অনুষ্ঠানকে একান্তভাবেই ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। সেজন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা বিয়ের আসর ঘিরে। এমনকি লেক কোমোতেও চলছে স্পিড বোটে নিরাপত্তাকর্মীদের টহল। কাউকেই লেক কোমোর ভিলা দেল বালবিয়ানেল্লোর দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য লেকের পার থেকে ক্যামেরায় কিছু কিছু ছবি ধরা পড়েছে। দূর থেকেই শোনা গেছে মন্ত্র উচ্চারণের ধ্বনি। আগামী ১৮ নভেম্বরই বলিউড দম্পতি ফিরে আসছেন মুম্বইয়ে। এরপর ২১ নভেম্বর বাঙ্গালুরুতে একটি রিসেপশনের আযোজন করা হয়েছে দীপিকার বাড়ির পক্ষ থেকে। আর ২৮ নভেম্বর মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড হায়াতে হচ্ছে রাজকীয় রিসেপশন। সেই আসরে হাজির থাকবেন গোটা বলিউডসহ বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্যরা। দম্পতির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও উপহার না আনতে। যদি উপহার দিতেই হয় তা যেন দীপিকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে চেকে অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়।