× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুব সমাজকে সতর্ক থাকার আহ্বান

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ১৫, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মকে অপব্যবহার করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যাতে কেউ ক্ষুন্ন করতে না পারে সে বিষয়ে যুব সমাজকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘তারুণ্যের ছায়া সংসদ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এসময় আগামী সংসদ নির্বাচনে সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে অন্যের বিশ্বাস, মতামত ও বাক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা দান ও অপরাপর ধর্মমতকে শ্রদ্ধা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে দাতা সংস্থা অক্সফামের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত ওই ছায়া সংসদে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিএনপিএস’র ‘আমি এক ও অনেক’ প্রকল্পের আওতাধীন ১০টি যুব ক্লাবের ২৫জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। ছায়া সংসদে স্পিকাররের দায়িত্ব পালন করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ আব্দুল্লাহ জাফর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সেলিম, অক্সফামের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তারেক আজিক, বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক নিখিল ভদ্র, বিএনপিএস’র উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমী এবং ‘আমি এক ও অনেক’ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমা। অনুষ্ঠানে মাহমুদ সেলিম বলেন, সামাজিক বৈচিত্র্যের আবাসভূমি বাংলাদেশে বহু নৃতাত্ত্বিক, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ, গোত্র ও বিশ্বাসের মানুষের বসবাস। এখানে পহেলা বৈশাখ, নবান্ন উৎসব, পৌষ মেলা, একুশে ফেব্রুয়ারি, বসন্ত বরণসহ নানা উৎসব ও অনুষ্ঠানের প্রচলন রয়েছে।
যা সব মানুষের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মকে অপব্যবহার করে ও সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুজিঁ করে কিছু বিচ্ছিন্ন ও ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী দল বা গোষ্ঠী নিজেরদের স্বার্থে দ্বন্দ্ব, সংঘাত, নির্যাতন এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সামাজিক সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় তরুণ সমাজকে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশাত্মবোধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে কাজ করতে হবে। সাংবাদিক নিখিল ভদ্র বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল একটি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের স্বপ্ন নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জন করা একটি দেশে মৌলবাদি গোষ্ঠী শক্তিশালী হবে তা মেনে নেওয়া যায় না। এদের প্রতিহত করতে যুব সমাজের সঙ্গে সমাজের সব স্তরের মানুষের এক যোগে কাজ করতে হবে। এজন্য সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য জোরদার করা জরুরি। ছায়া সংসদে যুব প্রতিনিধিরা সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বিনষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে ধর্ম বিষয়ে স্পষ্ট ধারণার অভাবকে দায়ি করেন। তারা বলেন, অষ্পষ্টতার কারণে মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মকে পুঁজি করে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে। পাশাপাশি বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়া, পর্যাপ্ত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অভাব, শ্রেণি বৈষম্য, জেন্ডার বৈষম্য, কিশোর ও তরুণদের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলা, সামাজিক সংগঠন ও পাঠাগারের অভাব সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর