× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আতঙ্কে রংপুর বিভাগের ২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী

ইলেকশন কর্নার

জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে
১৬ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উৎসব মুখর পরিবেশ হলেও আতঙ্কে রয়েছে রংপুর বিভাগের বিএনপি নেতাকর্মীরা। মামলার জালে প্রায় ৮ হাজার নেতাকর্মীর মধ্যে অনেকে জামিন নিলেও তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এখনো কিছু নেতাকর্মী রয়েছেন জেল-হাজতে। পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচতে অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমান সরকার সংলাপে নির্বাচনের পূর্বে নেতাকর্মীদের হয়রানি বা গ্রেপ্তার করবে না বললেও তাদের পুলিশ এখনো বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্‌ফর হোসেন। তিনি বলেন, গতকালও রংপুর নগরীসহ ৮ উপজেলার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (অপরাধ) এবিএম জাহিদুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও নাশকতা এড়াতে বিভিন্ন দাগি আসামিকে ধরা হচ্ছে।
দলীয় সূত্র মতে, রংপুর জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ, আনিসুর রহমান লাকু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, সিনিয়র সহসভাপতি সামসুজ্জামান সামু, যুবদল মহানগর সভাপতি মাহফুজ-উন-নবী ডন, সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম নয়ন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিযবুল, সাধারণ সম্পাদক সামসুজোহা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুমন, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জীমসহ প্রায় সব নেতাকর্মীদের নামে রয়েছে মামলা। মামলায় অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজত খেটেছে। বর্তমান তারা জামিন নিয়েও স্বাধীনভাবে চলতে পারছে না। নেতাকর্মীদের ধর-পাকড় চলছেই। তারা মিছিল মিটিংসহ দলীয় কোনো কার্যক্রম চালাতে পারছে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ গঙ্গাচড়া আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ওয়াহেদুজ্জামান মাবু, মোকাররম হোসেন সুজন, রংপুর-২ বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ আসনে বিএনপি প্রার্থী সভাপতি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী, রংপুর সদর-৩ আসনে কাওসার জামান বাবলা, রংপুর-৪ পীরগাছা-কাউনিয়া আসনে এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর-৫ মিঠাপুকুর আসনে প্রভাষক একেএম রুহুল উল্লাহ জুয়েল, রংপুর-৬ পীরগঞ্জ আসনে সাইফুল ইসলাম প্রার্থী হবেন বলে জানা যায়। এ অবস্থায় নির্বাচনমুখী হয়ে কতটুকু সুবিধা করতে পারবে সেটাই মুখ্য বিষয়। সম্প্রতি গত ৪ঠা নভেম্বর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মী আদালতে জামিন নিতে গেলে সেখানে আগে থেকে আসা আওয়ামী মহিলা লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিনের বিরোধিতা করে বেআইনিভাবে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ স্লোগান দেয়। এ সময় বিএনপির জামিন নিতে আসা নেতাকর্মীদের দেখে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে নিজেরাই হট্টগোল সৃষ্টি করে নতুন করে আবার মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে। পুলিশ আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে কাজ করছে। জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট দেশব্যাপী টানা হরতাল ও অবরোধের ডাক দেয়। এ সময় হরতালের নামে নাশকতা, যানবাহনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রংপুর জেলাসহ বিভাগের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুরসহ ৮ জেলার বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীর নামে-বেনামে মামলা হয়। এর মধ্যে দ্রুত বিচার আইনেও মামলা রয়েছে ২৭টি। বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, সরকারের ইন্ধনে পুলিশ অন্যায়ভাবে এসব মামলা করেছে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাসহ রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীর মুক্তি এবং দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের মুক্তি ও গ্রেপ্তার হয়রানি বন্ধ করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর