× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রত্যাবাসনের পরিবেশ এখনো হয়নি /জাতিসংঘের মূল্যায়নের সঙ্গে সহমত যুক্তরাষ্ট্রের

দেশ বিদেশ

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৬ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

তড়িঘড়ি করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যৌথভাবে যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়- জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন (পিআরএম) বিষয়ক মার্কিন উপ-সহকারী মন্ত্রী রিচার্ড অলব্রাইট গত ১০ই নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ছিলেন। ১১ থেকে ১৩ই নভেম্বর তিনি কক্সবাজারে কাটিয়েছেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। মার্কিন মন্ত্রীর সফর বিষয়ে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, বিদ্যমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন এবং স্থানীয় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলাই ছিল মার্কিন মন্ত্রীর সফরের লক্ষ্য। অতি সাম্প্রতিক মিয়ানমার থেকে এসেছে এমন রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। গতকাল মার্কিন মন্ত্রীর সফরের সমাপনীতে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে আমেরিকান সেন্টার জানিয়েছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য পুরো অনুকূল নয় মর্মে ইউএনএইচসিআর তথা জাতিসংঘ যে মূল্যায়ন দিয়েছে এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আপত্তি এবং ফিরে যেতে একজন রোহিঙ্গাও রাজি না হওয়ায় বাংলাদেশের প্রত্যাবাসন চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ওয়াশিংটন মনে করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝা এবং শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দেশটিতে অবাধ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন।
বুঝে শুনে, নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত অঙ্গীকার এবং ইউএনএইচসিআরকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে রাখাকে স্বাগত জানায় ওয়াশিংটন। মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়- উপসহকারী মন্ত্রী অলব্রাইট বাংলাদেশ সফরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমার গিয়ে সরজমিনে সফরের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-ও একই রকম পরামর্শ দিয়েছে। যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের ছেড়ে আসা গ্রাম ও মিয়ানমারের ট্রানজিট স্থাপনাগুলো নিজে দেখে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে স্বজনদের সঙ্গে বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমেরিকান সেন্টার জানিয়েছে- কক্সবাজার সফরের সময় উপসহকারী মন্ত্রী অলব্রাইট কুনাপাড়া বর্ডার ক্রসিং, ইউএনএইচসিআর ট্র্যানজিট সেন্টারসহ কয়েকটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং চিকিৎসাসেবা, খাদ্য বিতরণ ও পুষ্টিসহ বিভিন্ন সহায়তা দেয়া কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। ডব্লিউএফপি, ইউনিসেফ, রেডক্রস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা এগুলো বাস্তবায়ন করেছে। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ইউএসএআইডি মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউন। যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি দেখাশোনা এবং সরকার, জাতিসংঘ এবং এনজিওগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পিআরএম-এর কর্মকর্তারা যে নিয়মিত সফর করেন, রিচার্ড অলব্রাইটের সফরটি ছিল তারই অংশ বলেও জানানো হয়। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চলমান সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় বাংলাদেশিদের সহায়তা করতে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এ ছাড়াও জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান ২০১৮-তে এ পর্যন্ত জমা পড়া মোট অর্থের ৪০ শতাংশ অনুদান যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্মী বর্বরতা চলাকালে বিশেষ করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সীমান্ত উন্মুক্ত রেখে (২০১৭ সালের আগস্টে) সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার যে উদারতা দেখিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করে মার্কিন মন্ত্রী বলেন, দুর্গত রোহিঙ্গাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ যে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারও প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর