× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্ট্যাটাস কী হবে জানতে চান কূটনীতিকরা

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৬ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্ট্যাটাস কী হবে? পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে জানতে চাইলেন কূটনীতিকরা। মন্ত্রী এ নিয়ে তাৎক্ষণিক জবাবে বিষয়টি খোলাসা করতে পারেননি। তিনি এ নিয়ে লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, চাইলে আপনারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরও লিখতে পারেন।
এ নিয়ে আপনাদের চিঠি পাওয়ার আমরা ইসির কাছে জানবো এবং অবশ্য আপনাদের জানাবো। গতকাল সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিস্তারিত জানাতে বিদেশি কূটনীতিকদের আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে নির্বাচন বিষয়েও কথা বলেন তিনি। দীর্ঘ ওই ব্রিফিংয়ে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের দফায় দফায় সংলাপ, সব দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ এবং অঙ্গীকার, বিরোধীদের দাবি মেনে নির্বাচনের তফসিল পেছাতে ইসির সিদ্ধান্তে সরকারের বিরোধিতা না করা এবং নমিনেশন বিক্রি কার্যক্রম চালাতে গিয়ে পল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষের (মন্ত্রীর ভাষায় অনাকাক্সিক্ষক ঘটনা) বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করেন মন্ত্রী।

বৈঠক সূত্র বলছে, নির্বাচনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক সময় ধরে কথা বললেও পর্যবেক্ষকদের স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাওয়া ছাড়া তেমন প্রশ্ন বা বাড়তি কিছু জানার আগ্রহ দেখাননি কূটনীতিকরা।
বিদেশিরা প্রত্যাবাসনেই তাদের ফোকাস রেখেছেন। সূত্র এটি নিশ্চিত করে যে, এ নিয়ে শুরুতে বৃটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক এবং পরে জার্মান দূত জানতে চান। তাদের উভয়ের জিজ্ঞাসার জবাবে মন্ত্রী লিখিতভাবে জানতে চাওয়ার পরামর্শ দেন। গতকালের বৈঠকে নির্বাচন বা প্রত্যাবাসন কোনো ইস্যুতেই কূটনীতিকরা কোনো ধরনের উদ্বেগ জানাননি দাবি করে এক কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যাবাসনে এখনই রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ার পেছনে ভয় এবং ট্রমা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ জাতিসংঘের প্রতিনিধি। সেই ভয় এবং ট্রমা কাটাতে মন্ত্রী মিয়ানমার এবং আন্তর্জাািতক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছেন। ব্রিফিংয়ে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা রাখাইনের উন্নয়নে তার সরকারের উদ্যোগগুলোর বিস্তারিত বলেছেন। সেখানে তারা অতিরিক্ত ৫০০ বাড়ি নির্মাণ করছে বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে শীতকালীন সহায়তা কম্বল এবং ভারি কাপড়-চোপড় কক্সবাজার ক্যাম্পের জন্য ইনসানিয়াত কর্মসূচির আওতায় দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। তবে ভারত নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেনি বলে দাবি ওই সূত্রের।

উল্লেখ্য, অন্য কূটনীতিকরা এড়িয়ে গেলেও বাইরে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন ভারতীয় দূত। বলেন, এটি অত্যন্ত ইস্টারেস্টিং ব্রিফিং ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সংলাপগুলোর বিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন। তিনি প্রত্যাবাসন নিয়ে ব্রিফ করেছেন। ভারত চায় উপযুক্ত ব্যবস্থায় টেকসই এবং দ্রুত স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন হোক। প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে প্রি ফেব্রিকেটেড হাউজ নির্মাণে ভারত সরকার সহায়তা দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গেও কাজ করছি। কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ভারত সরকার একবার নয়, ৩ দফায় সহায়তা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শীতে তাদের কষ্ট লাঘবে তার সরকার কম্বল, সোয়েটার এবং সোল্যার প্যানেল পাঠাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর