× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-১১ /ভোট দিতে মুখিয়ে ভোটাররা

এক্সক্লুসিভ

মারুফ কিবরিয়া
১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার

‘বুঝ হওয়ার পর থেকে দেখে আসছি, নির্বাচন এলেই দেশে দুই দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মারামারি করে। কেউ কাউকে ছাড়ে না। এসব করে ২০১৪ সালে ভোটই হলো না। গত নির্বাচনে প্রথম ভোটার ছিলাম। দিতে পারিনি। এবার শুনছি, দুই দল নির্বাচনে আসছে। আমি এই নূরের চালা এলাকারই ভোটার। খুব ইচ্ছা আছে নিজের ভোটটি এবার দেবো’।
প্রথমবার ভোটার হয়েও ভোট না দিতে পারার আক্ষেপ ঢাকা-১১ আসনের নূরের চালা এলাকার ভোটার ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদের। এবার ভোট দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন তিনি। শুধু ফয়সাল নন ঢাকা-১১ আসনের সবাই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে মুখিয়ে আছেন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা ও রামপুরা থানা নিয়ে গঠিত এই আসনে প্রার্থীরা এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। প্রার্থীদের সমর্থকরাও অপেক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামার। এই আসনে বড় দুই দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন একেএম রহমতুল্লাহ এবং বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন শামীম আরা বেগম। তিনি সাবেক কমিশনার এম এ কাইয়ুমের স্ত্রী। একাধিক মামলা থাকায় কাইয়ুম দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসনে বিএনপি মনোনীত এ প্রার্থী বর্তমান এমপি একেএম রহমতুল্লাহর কাছে হেরে যান। রাজনীতির মাঠে পুরনো অনেক হিসাবনিকাশ থাকলেও এ আসনের ভোটাররা অপেক্ষা করছেন একটু সুষ্ঠু নির্বাচনের। ব্যালট ছিনতাইয়ের মতো কারচুপির নির্বাচন চান না তারা। কেন্দ্রে গিয়ে সুন্দর পরিবেশে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চান ঢাকা-১১’র ভোটাররা। শাহজাদপুর খিলবাড়িটেক এলাকার স্থানীয় মুদি দোকানি আশরাফ হোসেন বলেন, এখন তো ভোট হইতে শুনি না। টিভিতে খবরে দেখি যারা ক্ষমতায় আছে তারা ব্যালট আগে থেকে সিল দিয়া নির্বাচন শেষ কইরা দেয়। ভোটারগো ভোটকেন্দ্রে যাওয়া লাগে না। এবার মনে হয় এমন হইবো না।  আমরা যদি জনগণ এক থাকি আমাগো ভোট আমরাই দিতে পারুম। শাহজাদপুর বাজারের আতিক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন,  আমরা ভোট দিতে চাই। এজন্য ভোটের দিন আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এই এলাকা এমনেও খারাপ। কোনোমতে যদি ঊনিশ-বিশ হয় তাইলে মারামারি লাগবে। উত্তরবাড্ডা গুপিপাড়া এলাকার মাসুদ রহমান নামের এক চা দোকানি জানান, আমি এই এলাকায় অনেক বছর ধরে আছি। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে এখানে। এইরকম হইলে তো নির্বাচনও ভালো হইবো না। উত্তরবাড্ডার বাসিন্দা তানিয়া বলেন,  আমি এবারই নতুন ভোটার। কাকে ভোট দিবো সেটা এখনো ঠিক করিনি। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বলতে চাই, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। একটি দল এখানে আগে থেকেই নিজেদের বিজয়ী বলে ভাবছে। আমি তাতে বিশ্বাসী না। ভোটকেন্দ্রে সব ভোটাররা ভোট দেবে। তারপর ফল ঘোষণার পর কে বিজয়ী তা বোঝা যাবে। আমার ফেসবুকে দেখি এখানকার স্থানীয় নেতারা আগাম বিজয়ী বলে ঘোষণা দিচ্ছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সৎ ও যোগ্য লোককে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করাই আমাদের কাজ। মধ্যবাড্ডার বাসিন্দা সরকারি চাকরিজীবী আফরোজা সুলতানা বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি বুঝি না। ভালো কাজ যে করবে বা শান্তি যে বজায় রাখবে তাকেই ভোট দেবো। এই বাড্ডা এলাকায় গত এক বছরে না হলে রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে ৩টি খুন হয়েছে। আমরা এসব চাই না। এলাকায় শান্তি চাই। দক্ষিণ বাড্ডার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বাস করছি। বিএনপি আওয়ামী লীগ কেউই কখনো এলাকার জন্য ভালো কোনো কাজ করেনি। তারপরও এখানকার মানুষ একেকবার একেক দলকে ক্ষমতায় এনেছে। তবে এবার আশা করবো যারা প্রার্থী হয়েছেন জয়ী প্রার্থী যেন এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেন। মেরুল বাড্ডার আফরিন আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি এবারই প্রথম ভোট দেব। একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চাই। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে যেতে পারাটাই আসল ব্যাপার। সিটি ইলেকশনগুলোর মতো ভোটার কেন্দ্রে যাওয়ার আগে যদি ভোট দেয়া হয়ে যায় তাহলে আক্ষেপ থেকে যাবে। তবে আমি আশাবাদী। সেরকম কিছু এই নির্বাচনে হবে না। নিজের ভোটটি দিতে পারলে খুব ভালো লাগবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর