× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন, বাড়লো এলডিপির আসন

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার

চট্টগ্রামের দুই আসনে আবারো প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। এতে শরিক দল এলডিপির বাড়লো আরো একটি আসন। সেই সঙ্গে পাল্টে গেছে আসন দুটির ভোটের হিসাবনিকাশও। আসন দুটি হচ্ছে চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড এবং চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া। সীতাকুণ্ড আসনে ইসাহাক চৌধুরীর পরিবর্তে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয় দলের যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীকে।
রাঙ্গুনিয়া আসনে উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহারের পরিবর্তে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয় শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আলম তালুকদারকে। এর আগে শনিবার বিকালে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী লায়ন আসলাম চৌধুরী। এরপর আগের দিন ঘোষিত চূড়ান্ত প্রার্থী ইসাহাক চৌধুরীর পরিবর্তে আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
ইসাহাক চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, সীতাকুণ্ড আসনে প্রার্থী হিসেবে বিএনপির প্রথম পছন্দ আসলাম চৌধুরী।
আপিলে শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন আসলাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে।  আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আসলাম চৌধুরীই সীতাকুণ্ডে বিএনপির প্রার্থী।
একই সময়ে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান। বিদ্যুতের বিল খেলাপি হওয়ায় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল না করায় যাচাই বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং অফিসার।
এ আসনে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে আছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান এবং বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহও। এর আগে আসনটিতে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা এবং বিএনপি নেতা নুরুল মোস্তফা খোকন।
টিঅ্যান্ডটি বিল বকেয়া থাকায় মোস্তফা কামাল পাশার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার। পরে তিনি আপিল করেন। বৃহসপতিবার শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
শনিবার রাতে হঠাৎ চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনেও মনোনয়ন পরিবর্তনের ঘোষণা আসে। এতে বিএনপির মনোনীত রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহারের পরিবর্তে শরিক দল এলডিপির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আলম তালুকদারকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এতে পাল্টে যায় এ আসনে ভোটের হিসাবনিকাশ। ফিরে আসে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শওকত আলী নূর এ প্রসঙ্গে বলেন, নুরুল আলম তালুকদার উপজেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা। অভিমানে তিনি বিএনপির শরিক দল এলডিপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী এই নেতার হাতে গড়া। প্রার্থী হিসেবে এই নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকে জয়যুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী শক্তি একাট্টা হয়ে কাজ করবেন। এ নেতার মাধ্যমে বিএনপির আসনখ্যাত রাঙ্গুনিয়া পুনরুদ্ধার হবে বলে আমি আশাবাদী।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের এই আসন ছেড়ে দেয়ায় শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির আসন বেড়ে দুই-এ দাঁড়ালো। এর আগে চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক আসনে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, বীরবিক্রমকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে পরিবারটির প্রতিনিধিই প্রার্থী হবেন- এমন ধারণা ছিল। অবশ্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ঋণ খেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে বিএনপি এতদিন কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি। ফলে আগে থেকেই ধারণা ছিল এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বীরবিক্রম এ আসনটিতে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হবেন। সর্বশেষ শনিবার রাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, এলডিপির দুটি আসন ছাড়াও চট্টগ্রাম-১৫  লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া আংশিক এবং চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসন দুটিও শরিক দলকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম-১৫ আসনে জামায়াতের শামসুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসনে শরিক দল বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্‌রাহীম বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের প্রার্থী হবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর