× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জে ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

বাংলারজমিন

আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
১১ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনে মোট ৩৪ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। তারা সবাই দলীয় প্রার্থী। এর মধ্যে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী, একটি আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ মোট দুইটি আসনে, একটি আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থীসহ মোট তিনটি আসনে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছয়টি আসনে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চারটি আসনে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি দুইটি আসনে এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাকের পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) প্রার্থী একটি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। প্রার্থীদের সবাই দলীয় হওয়ায় তাঁদের মধ্যে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে একটি আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনে মোট ৫৫জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
তাদের মধ্যে রিটার্নিং অফিসার মোট ৩৪ জনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বাকি ২১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। রিটার্নিং অফিসারের যাছাইয়ে বাতিল হওয়া ২১ প্রার্থীর মধ্যে আপিলে ১২ প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা ফেরত পান। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশে আরো তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। ফলে ছয়টি আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জন। মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোটগত ঐক্য এবং দলীয় একাধিক মনোনয়নের কারণে ছয়টি আসনে মোট ১৫ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নয়জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া দলীয় চূড়ান্ত প্রার্থিতা ঘোষণার কারণে বাকি ছয় জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে। এখন মোট ৩৪ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে মোট পাঁচ প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। তাঁরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী মো. এনামুল হক (কাস্তে), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মুহ. আবদুর রহমান অ্যাডভোকেট (তারা) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন (হাতপাখা)। কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে মোট সাত প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। তাঁরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী নূরুল ইসলাম (কাস্তে), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুল জব্বার (গোলাপ ফুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন রুবেল (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী তারেক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (আম) এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ প্রার্থী মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম (হারিকেন)।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে মোট ছয় প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। তাঁরা হলেন, মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি (লাঙ্গল), জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. আলমগীর হোসাইন (হাতপাখা), সিপিবি প্রার্থী ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ (কাস্তে), গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী দিলোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া (কবুতর) এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. শওকত আলী (মশাল)। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে মোট চার প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ প্রার্থী খায়রুল ইসলাম ঠাকুর (রিকশা)। কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে মোট সাত প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী মো. ফরিদ আহাম্মদ (কাস্তে), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী সেলিনা সুলতানা (তারা), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী খন্দকার মোছলেহ উদ্দিন (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. ইব্রাহীম (হাতপাখা) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী শাহ আলম (আম)। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে মোট পাঁচ প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মো. শরীফুল আলম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি প্রার্থী নূরুল কাদের সোহেল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ মুছা খান (হাতপাখা) এবং ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী মো. রুবেল হোসেন (মোমবাতি)।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর