× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইসির যুগ্ম সচিব সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) ডিসেম্বর ১১, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:৫৮ পূর্বাহ্ন

আপিল শুনানিতেও বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তার হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৬ আসনের এক প্রার্থী। মঙ্গলবার সকালে, নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার যুগ্ম সচিব সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাদাকাত খান ফাক্কু।

অভিযোগে সাদাকাত খান বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শেষে, মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় রাত সাড়ে নয়টা থেকে সার্টিফায়েড কপির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। পরদিন ৯ই ডিসেম্বর সোমবার কপিটি পাওয়া যাবে বলে আশ^স্ত করা হয় তাকে। এভাবে পরদিনও রাত দশটা নাগাদ অপেক্ষা করেন ঢাকা-১৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদাকাত খান ও তার সমর্থকরা। ৯ই ডিসেম্বর রাত দশটার দিকে আপিলের কপি না পাওয়ায় আইন বিভাগের শরনাপন্ন হতে বলে হয় এই প্রার্থীকে। পরে, রাত প্রায় সাড়ে দশটার দিকে আইন শাখার যুগ্ম সচিব সেলিম মিয়ার সাথে দেখা করেন সাদাকাত খান। এ সময় সেলিম মিয়া এই প্রার্থীর সাথে অসদাচরণ করেন বলে সিইসি বরাবর লিখিত আবেদনে অভিযোগ করেন সাদাকাত খান।
প্রার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা করা হয় বলে জানান এই প্রার্থী।

সাদাকাত খান বলেন, তিনি আমাকে বলেন, আপনি কি ১০টাও ভোট পাবেন? বেশি কথা বলবেন না। একথা বলেই তিনি আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। দৌড়ে এসে আমাকে থাপ্পড় দিতে চান। পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।’

সাদাকাত খান অভিযোগ করেন, অন্য কোন প্রার্থী থেকে প্রভাবিত হয়ে আপিলের সার্টিফায়েড কপি না দিয়ে আদালতে যাবার পথ বন্ধ ষড়যন্ত্র করছিলেন যুগ্ম সচিব সেলিম মিয়া। এমন লিখিত অভিযোগ জমার দেয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকালে গতকাল সোমবারের ব্যাকডেটে তাকে রায়ের কপি দেয়া হয় বলে জানান তিনি। এমন ঘটনার প্রতিবাদে সাদাকাত খানের সমর্থকরা আজ সকালে ইসি ভবন ঘেরাও করতে গেলে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

লিখিত অভিযোগ সাদাকাত খান উল্লেখ করেন, তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে সারা দেশের ক্যাম্পে বসবাস করা বিহারী নাগরিকদের অধিকার আদায় ও পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালে সাদাকাত খানের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বিহারীদের ভোটাধিকার, নাগরিকত্ব ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের রায় দেয়। ঢাকা-১৬ আসনে বিহারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজারের মতো। অবহেলিত এ জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় করতেই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর