× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শান্তিপূর্ণ ভোট চান জার্মান প্রবাসীরা

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার

 জার্মানিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি শান্তিপূর্ণ ভোট চান। তাদের আশা, ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। একই সঙ্গে তারা ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধের জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। এ সময় তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশা ও আতঙ্ক প্রকাশ করেন। ৭ই ডিসেম্বর জার্মান সরকার পরিচালিত ডয়েচে ভেলে একটি রাজনৈতিক সংলাপ আয়োজন করে। এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘কেমন বাংলাদেশ চান’? এতে অংশ নেন জার্মানিতে বসবাসকারী ৪০ জনের বেশি বাংলাদেশি। তাদের বেশির ভাগই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করেন। তবে কেউ কেউ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
সমালোচকরা বলেন, বিরোধী দল ও মুক্ত চিন্তার মানুষদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে সরকার। তবে সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বার্লিনভিত্তিক প্রকৌশলী মীর মোনাজ হক বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জার্মানির মতো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীন নয় বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। তার ভাষায়, বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ নির্বাচন কমিশনারের নাম জানেন। কিন্তু কতজন জার্মান তাদের নির্বাচন কমিশনারের নাম জানেন? বেশি না। কারণ, নির্বাচন কমিশনারের নাম জানার প্রয়োজন নেই তাদের। জার্মানির নির্বাচন ব্যবস্থা কাজ করে স্বাধীনভাবে। ভোট হয় অবাধ ও সুষ্ঠু। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন।
ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন সদস্য। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সদস্য বশিরুল আলম চৌধুরী অন্যতম। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকাল সফল। তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সদস্য মোস্তাক খান বলেছেন, সম্প্রতি জার্মানভিত্তিক একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক আওয়ামী লীগের শাসনকে স্বৈরতন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছে।

বন-এ বসবাস করেন বাংলাদেশি সাংবাদিক আহম আবদুল হাই। তিনি আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের জনগণ ভিন্নমতের প্রতি অধিক সহনশীল হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের উচিত শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডকে বাতিল করা। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ইতি টানা। ওই সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই আশা প্রকাশ করেন যে, নির্বাচনের পর ক্ষমতার হাতবদল হবে মসৃণভাবে। ডয়েচে ভেলে লিখেছে, বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে বসবাসকারী বহু মানুষ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতা শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের পথ রচনা করে দিতে পারে। নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ততই নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছে। তাদের আশা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ওপর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে চাপ বাড়াবে।

এই মাসের শুরুতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা উইলিয়াম মুয়েলার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এর আগের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা এসব উদ্বেগ তুলে ধরেছি। তাই আমরা আশা করি, জাতীয় নির্বাচনে আমরা একই ঘটনা দেখবো না। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ১২টি পর্যবেক্ষক টিম পাঠাচ্ছে। অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট বলেছে, ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন হবে উচ্চ মাত্রার রাজনৈতিক মেরূকরণ, উত্তেজনা ও রাজনৈতিক স্থান সংকোচনের মধ্য দিয়ে।

ডয়েচে ভেলে আরো লিখেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে নিরপেক্ষতার অনুভূতি সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো বার বার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সহায়তা চাইছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের দাবি নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করতে হবে ক্ষমতাসীনদের। ক্ষমতা তুলে দিতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। বিরোধী রাজনীতিকরা বলেন, একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীনরা।

২০১৪ সালের মতো না হয়ে এবার বিএনপি নির্বাচন বর্জন না করে নির্বাচন করছে, যদিও তাদের দাবি পূরণ করা হয় নি। গত ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন দুজন নারী রাজনীতিক। তারা হলেন- শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন শেখ হাসিনা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর