× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চ্যাম্পিয়নদের হটিয়ে সেমিতে ব্রাদার্স

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সাডেন ডেথে ৪-৩ (৩-৩) চ্যাম্পিয়ন আরামবাগকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে উঠলো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত সময় ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র ছিল। ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী ও ‘ডি’ গ্রুপ রানার্সআপ শেখ রাসেলের মধ্যকার বিজয়ী দলের সঙ্গে আগামী ১৯শে ডিসেম্বর প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ব্রাদার্স।
ব্রাদার্সকে তৃতীয় গোল করে এগিয়ে দেবার পর জার্সি খুলে ফেলেন ড্যানিয়েল। তার ওই ভুলেই দশজনে পরিণত হয় ব্রাদার্স। কিন্তু শক্তি খর্ব হওয়ার পরও পেনাল্টি শুটআউট পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে গিয়ে দারুণ কৃতিত্ব দেখিয়েছে নঈমুদ্দিন শিষ্যরা। কখনো ম্যাচে এগিয়ে যাচ্ছে আরামবাগ-কখনো বা ব্রাদার্স। একদল আগায় তো কিছুক্ষণ পর গোল করে আরেক দল ফেরে সমতায়।
কখনো গোলের আনন্দ, পর মুহূর্তেই বিষাদ। কখনো ১০ জনের ব্রাদার্স তো কখনো আরামবাগ। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুট আউট। সেখানেই মারুফুল হকের শিষ্যদের হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় গোপীবাগের দলটি। অথম ম্যাচের ১৪ মিনিটে ধারার বিপরীতে প্রথম গোল আদায় করে নিয়ে চমক দেখায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ। একক প্রচেষ্টায় বাঁপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ব্রাদার্সের বক্সে ঢুকে পড়েন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল।
তার বাড়ানো বলেই আরামবাগকে এগিয়ে দেন দলীয় অধিনায়ক রবিউল হাসান (১-০)। ৪৪ মিনিটে বাঁপ্রান্ত থেকে লেফট উইঙ্গার শফিকুল শাফির  বাঁ পায়ের উঁচু ক্রসে বক্সে লাফিয়ে উঠে হেড করেন লিমা। গোলরক্ষক হাত বাড়িয়েও বলের নাগাল পাননি। বল চলে যায় আরামবাগের জালে (১-১)। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে সমতাতেই।
৫৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়েছে আরামবাগ। রবিউল ইসলাম মাঝ মাঠ থেকে বল দেন পল এমিলকে। কিন্তু তাকে বাধা দেন ব্রাদার্স ডিফেন্ডার। ব্যাকহিলে দর্শনীয় বল পাস দেন এমিল। বল পেয়ে বা পায়ের শটে ব্রাদার্সের জাল কাঁপান রবিউল (২-১)। ৬৫ মিনিটে আবারো জমে উঠে ম্যাচ। কারণ ব্রাদার্স আবারো এক গোল করে ম্যাচে সমতা আনে। লিমা লিওনার্দোর পাসে বল পেয়ে বক্সের বাঁপ্রান্ত থেকে শফিকুল ইসলাম সাফির ক্রসে চলন্ত বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন মান্নাফ রাব্বি (২-২)। ৭৮ মিনিটে তৃতীয় গোল করে  আরো চমক দেখায় নঈমুদ্দিনের শিষ্যরা। ডান প্রান্ত থেকে বক্সের বেশ দূর থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন জ্যাক ড্যানিয়েল (৩-২)। গোল করেই জার্সিটা খুলে উদযাপনে মাতেন এই পানামার ফরোয়ার্ড।
কিন্তু এর মধ্যেই সতীর্থ এভারটন ছুটে এসে ড্যানিয়েলকে বেশ ক’টি ঘুষি মারতে থাকেন। গোল উদযাপনের এ কি রকম তরিকা! রহস্যটা খুলেছে কিছুক্ষণ পরেই যখন রেফারি জালাল উদ্দিন জার্সি খোলার অপরাধে হলুদ কার্ড দেখান ড্যানিয়েলকে। এর আগেই যে একটি হলুদ কার্ড ছিলো তার। তাই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। দশ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাদার্স। আনন্দের মুহূর্তটাই বিষাদে পরিণত হয় তাদের। সুযোগটা কাজে লাগাতে বিলম্ব করেনি স্বাধীনতা কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৮৫ মিনিটে রবিউল হাসানের কর্নারে জটলাতে বল পেয়ে লাফিয়ে উঠে হেড করে আরামবাগকে আবার সমতায় ফেরান গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা ফুটবলার পল এমিল (৩-৩)। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ফলাফল অমীমাংসিত থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেই আর কোনো গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শুট আউটে। ব্রাদার্সের পক্ষে গোল করেন মান্নাফ রাব্বি, আশরাফুল, মোয়ায়েদ খালিদ, মিস করেন লিমা, এভারটন। আরামবাগের গোল করেন রাজন মিয়া, আবু সুফিয়ান জাহিদ, কিংসলে। মিস করেন রকি, রবিউল হাসান, শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় সাডেন ডেথে, গোল করেন ব্রাদার্সের খান মোতারা কিন্তু আরামবাগের চিনেদু ম্যাথিও মিস করায় জয় পায় ব্রাদার্স।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর