× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাক্ষাৎকার সংক্ষেপ /কেন্দ্র ভোটারদের হাতে থাকবে সন্ত্রাসীদের নয়

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এখন বাংলাদেশে এমন অবস্থা যে ক্ষমতায় থাকলে বেহেস্ত আর ক্ষমতার বাইরে গেলে দোজখ। এরকম একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, ক্ষমতায় গেলে সবকিছু পেয়ে গেছি। আর ক্ষমতার বাইরে গেলে মহাবিপদের মধ্যে পড়েছি। এরকম অবস্থা থাকলে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আসতে পারে না। কারণ সব সময় ক্ষমতায় যাওয়ার এবং থাকার জন্য যা খুশি তাই করার প্রবণতা থাকে। ফলে গণতান্ত্রিক যে প্রক্রিয়া সহনশীলতা, ধৈর্য, এবং অন্যের মতের প্রতি সম্মানবোধ এই জিনিসগুলো থাকে না। নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে তারা সমগ্র বাংলাদেশের মালিক হয়ে যাবে এই প্রক্রিয়া যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত এই অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে।   

আসন্ন নির্বাচনকে কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখার সময় হয়নি তো এখনো। সবকিছু দেখবে নির্বাচন কমিশন।
ভোটার হিসেবে আমরা ভোট দেবো। সেটা যেন ঠিকমতো হয় তা নিশ্চিত করাটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাজ। যারা প্রার্থী তারা সবাই যেন তাদের বক্তব্য প্রচার করতে পারে। আবার কেউ যেন সীমা লঙ্ঘন না করে।

এবারের নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ’৯১ সালের পর প্রথম সরকারি কোনো দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে। ১৯৮৮, ৯৬ এবং ২০১৪- এই তিনটি সময়ে যে সরকারি দল থাকা অবস্থায় নির্বাচন হয়েছে সেগুলো আমাদের ইতিহাসে খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত রেখেছিল। এবারের নির্বাচনটা সরকারি দলের জন্য একটি বড় পরীক্ষা। তারা কি আগের যে খারাপ দৃষ্টান্ত সেটা অনুসরণ করবে নাকি নতুন একটি দৃষ্টান্ত রাখবে যে, সরকারি দল ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন ঠিকমতো হতে পারে।

কেমন নির্বাচন দেখতে চান- এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদ মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার সীমা অনেক নিচে চলে আসছে। তাদের সামান্য প্রত্যাশা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে এবং নিরাপদে সবাই ভোট দেয়ার। ভোটকেন্দ্র ভোটারদের হাতে থাকবে, সন্ত্রাসীদের হাতে নয়।

নির্বাচনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়াও অন্যান্য সময় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও সম্পত্তি দখলের ঘটনাসহ নানান ঘটনা ঘটে। যে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা সংখ্যালঘুর সম্পত্তির দিকে লোভী দৃষ্টিতে তাকায় কিংবা দুর্বলদের ওপর নির্যাতন করা যাদের রাজনীতি তাদের কাছে প্রতিশ্রুতির আশা করাটাও অবান্তর।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর