যশোরের মণিরামপুরে শিমুল হোসেন (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত শিমুল হোসেন উপজেলার সরসকাঠি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। শিমুল স্থানীয় কাশিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল সকালে উপজেলার সরসকাঠি গ্রামের নিজ বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেত থেকে শিমুল হোসেনের লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শিমুলের পিতা রফিকুল ইসলাম ঢাকার গাজীপুরে আনসার-ব্যাটেলিয়ান সদস্য হিসেবে কর্মরত। শিমুলের মা পলি বেগম জানান, সোমবার সারাদিন কাশিমপুর হাইস্কুল মাঠে শিমুল বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করেছিল। সন্ধ্যার পর বাড়ি এসে সে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিল।
রাত ৯টার দিকে শিমুলের নম্বরে একটা কল আসলে সে র্যাকেট (ব্যাডমিন্টন) হাতে নিয়ে খেলতে বেরিয়ে যায়। রাতে আর ছেলে বাড়ি ফেরেনি। সকালে উঠে বাড়ির পাশে একটি ক্ষেতে ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। তবে, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে পুলিশ কিছু বলছেন না। মণিরামপুরে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এসএম এনামুল হক বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট থেকে দেখা যায় লাশের পেট, পিঠ, বাঁম হাত, মুখ ও গলায় ১৩টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। লাশের পরনের প্যান্টের পকেট থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ব্লু টুথ ও তার খেলার র্যাকেটটি উদ্ধার করা হয়েছে।
মণিরামপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান বলেন, এখনো হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্ধুবান্ধব কেন্দ্রিক বা পারিবারিক কোনো কোন্দলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুতই এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উৎঘাটন হবে।