দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় নির্মিত হচ্ছে ৩০৭ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত হচ্ছে এটি। কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি করছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য আইসোটেক ইলেকট্রিফিকেশন কোম্পানির সঙ্গে চলতি বছরের ১২ই এপ্রিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমানে ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে। বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোট নিশানবাড়িয়া গ্রামেই নির্মিত হচ্ছে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, নিশানবাড়ীয়া শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের পাশ্ববর্তী পায়রা নদীর মোহনা থেকে থেকে বালু ড্রেজিং করে প্রকল্পের জমি ভরাটের কাজ চলছে। প্রকল্পের কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চললেও একটি মহল শুরু থেকেই নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করছে।
শুরুতে ওই চক্রটি পাউবো’র জায়গা লিজ সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানে ওই মহলটি শুভসন্ধ্যা সৈকত নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সকল প্রকার সরকারি-বেসরকারি অনুমোদনের পরও তারা জনমনে উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে। তারা প্রচার করছে, ড্রেজিংয়ের কারণে শুভসন্ধ্যা সৈকত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। রোববার সরেজমিনে শুভসন্ধ্যা সৈকত পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। উপস্থিত অনেকের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করার কারণে সৈকতের কিছু অংশ তলিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইসোটেক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঈনুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে শুভসন্ধ্যা সৈকতের পার্শ্ববর্তী পাঁয়রা নদীর মোহনা থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন, সৈকতের এক কিলোমিটারের মধ্যে বালি উত্তোলন করা যাবে না। আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে ন্যূনতম এক দশমিক ২ কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছি। ফলে শুভসন্ধ্যা সি বিচের কোনো ক্ষতি হবার আশঙ্কা নাই।