× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্ত্রীর থাপ্পড়ে সংজ্ঞা হারায় মানস

রকমারি

অনলাইন ডেস্ক
৩ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

এক, দুই, তিন। চারের দিকে এগোতেই বাধা। গণপ্রহারের পর বিয়ের শখ ঘুচল গুণধরের। নদিয়ার চাকদহের কালীতলার যুবক মানস পাল এর আগে তিন তিনবার বিয়ে করেছে। সম্প্রতি এক কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছে। তা সত্বেও নিজেকে ‘সুপাত্র’ বলে পরিচয় দিয়ে চতুর্থবার পাত্রী দেখতে গিয়েছিল, তাও আবার তৃতীয় স্ত্রীর বাপের বাড়ির পাড়ায়। ব্যস আর যায় কোথায়! পাত্রী পাত্রকে দেখতে পেয়েই চিনে ফেলেন এবং তারপর সকলকে পাত্রের আসল পরিচয় দিতেই রে রে করে তেড়ে আসেন সকলে। চলে উত্তমমধ্যম, পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
আপাতত সেই ‘সুপাত্র’ শান্তিপুর থানার লক আপে। এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুবছর আগে মানস পালের সঙ্গে শান্তিপুর থানার বাগানেপাড়ার দীপালির বিয়ে হয়।  দেড় মাস আগে দীপালি বাপের বাড়ি যান।  সেখানেই তাঁর কন্যাসন্তান হয়। দীপালির পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার পর মানস কোনও যোগাযোগই রাখেনি। এমনকি সদ্যোজাত মেয়েকেও দেখতে যায়নি। তবে মাস দেড়েক পর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল তারই পাড়ার তিনটে বাড়ি পর  অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে।
মঙ্গলবার দুপুরে দীপালির প্রতিবেশী এক পাত্রীকে দেখতে ঘটকের সঙ্গে হাজির হয় মানস। পাত্রী দেখেই তাকে পাশের বাড়ির দিদির স্বামী বলে চিনতে পারেন। খবর পৌঁছে যায় দীপালির কাছেও। বাবাকে নিয়ে সেখানে যান দীপালি। স্ত্রীকে দেখে চিনতে না পারার অভিনয় করে । এসবের পর আর দীপালি নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি। স্বামীর দুগালে সপাটে চড় কষান। তাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মানস। পরে অবশ্য অজ্ঞান স্বামীকে নিয়ে দীপালিই শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে দীপালি ও তাঁর বাবা মানসকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান। তখনও মানসের অভিনয় শেষ হয়নি। দীপালির বাবার অভিযোগ, মানস মোজা গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যার ভান করছিল, পালানোর চেষ্টাও করেছিল। বেগতিক বুঝে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। দীপালি দেবীর অবশ্য বক্তব্য, বিয়ের আগে তিনি জানতেন, স্বামীর আগের পক্ষের স্ত্রী রয়েছে। তবে এমন কুকীর্তির কথা জানতেন না।

বুধবার সকালে গুণধর জামাইকে শিকলবন্দি অবস্থায় দেখে প্রতিবেশীদের কাছে সবটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। ওই অবস্থাতেই তাঁকে মারধর চলে। পরে শান্তিপুর থানার পুলিশ গিয়ে মানসকে লকআপে নিয়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ, বারবার বিয়ের অছিলায় আসলে পণ আদায় করাই মানসের মূল লক্ষ্য হয়ে উঠছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর