× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কবুতরে ভাগ্য পরিবর্তন

ষোলো আনা

তোফাজ্জল হোসেন তপু
১১ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

সাত বছর আগের কথা। শখের বশে ছয় জোড়া দেশীয় জাতের কবুতর কিনেছিলেন রবিউল ইসলাম। এর কিছুদিন পর জন্ম নেয় কবুতরের বাচ্চা। সেই বাচ্চাগুলো বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন তিনি। সেই থেকেই তার স্বপ্ন কবুতরের খামার দেয়ার।

এরপর রবিউলের বাড়িতে যুক্ত হয় নতুন কবুতরের ঘর। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে কবুতর। এখন তার খামারে রয়েছে সিরাজী, ম্যাগপাই, আউল, জালালী, গিরিবাজ, লোটন, লাক্ষা, কিং, ঘিয়ে, চুন্নী, হোয়াইট কিংসহ ৩০ জাতের দেশি-বিদেশি প্রায় ৫শ’ কবুতর। এসব কবুতরের বাজার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।
এ ছাড়াও রবিউলের খামারে শোভা পাচ্ছে ঘুঘু, টিয়া, লাভ বার্ডসহ নানান জাতের পাখি।

রবিউলের প্রতিজোড়া কবুতরের বাচ্চা বিক্রি হয় ২০০-২৫০ টাকায়। বিদেশি জাতের কবুতরের বাচ্চা বিক্রি হয় প্রায় চারগুণ দামে। কবুতর বছরে ৬-৭টি বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম। বাচ্চার পাশাপাশি তার খামারে প্রতি জোড়া বিদেশি কবুতর বিক্রি হয় প্রায় ৮-১০ হাজার টাকায়। বাহারী কবুতর, কবুতরের বাচ্চা ও পাখি বিক্রি করে তার প্রতিমাসে আয় হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। শখের বশে পালিত কবুতরই এখন রবিউলের উপার্জনের হাতিয়ার।

রবিউল যশোর এমএম কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করেছেন। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই কবুতর প্রীতি ছিল তার। শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শখের বশে নিয়ে আসেন ছয় জোড়া কবুতর। এরপর বাচ্চা বিক্রি করে চালাতেন লেখাপড়ার খরচ। কবুতরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন তা খামারে পরিণত হয়েছে। মাস্টার্স শেষ করেছেন। জোটেনি চাকরি। এখন চাকরির চিন্তা বাদ দিয়ে হয়েছেন খামারী। কবুতরের সফলতার পর খামারে যুক্ত হয় বিভিন্ন জাতের পাখি। পাশাপাশি বাড়ির পাশের জমিগুলোতে করেন নানান ফসলের চাষ। নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি করেছেন অন্যের কর্মের সুযোগ। রবিউলের ইচ্ছা আছে এই খামারটি আরো অনেক বড়পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার।

সরজমিন কাকলাশ গ্রামে রবিউল ইসলামের খামারে দেখা যায়, বড় একটি টিনের ছাউনির ঘরে ছয় শতাধিক খোপ। বিদেশি কবুতরের জন্য দেয়া হয়েছে লোহার খাঁচা। নিচে দেয়া খাবার ও পানি। আর পাখিগুলোর জন্য দেয়া হয়েছে একটি নির্দিষ্ট স্থান।

কবুতর ও পাখির যত্ন সম্পর্কে রবিউল জানান, ঘর সবসময় পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার পাশাপাশি রোগ জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে তিন মাস অন্তর অন্তর ওষুধ দিতে হয় শুধু।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর