× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সর্দি-কাশির জন্য ওষুধের চেয়ে চকোলেট ঢের ভাল

শরীর ও মন

অনলাইন ডেস্ক
১৩ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার

আবহাওয়ার পরিবর্তনে প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ এবং জ্বরে কাবু বহু হয় অনেকেই। তাই বলে হুট করে কাফ সিরাপ মুখে ঢালবেন না যেন! ওষুধও খেতে হবে না। বরং চকোলেট খান। ঢের ভাল কাজ দেবে। দাবি চিকিৎসকদের।

ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হালের হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস। সংবাদমাধ্যম ডেইলিমেল-এ একটি সমীক্ষা তুলে ধরেছেন তিনি। তাতে জানা গিয়েছে, সর্দি-কাশির নানা ওষুধ পাওয়া যায় বাজারে।
কিছু ওষুধের অন্যতম উপাদান কোকোয়া। যে ওষুধে কোকোয়া রয়েছে, সেগুলি খেলে তাড়াতাড়ি রেহাই পাওয়া যায়।

চকোলেটের গুণাগুণ নিয়ে এর আগে প্রশ্ন করতে দেখা যায় লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীদেরও। তাঁরা বলেন, সর্দি-কাশির ওষুধে কোডিনও ব্যবহার করা হয়। যাতে মাথা ধরা, কাশি এবং কফের সমস্যা দূর হয়। কিন্তু তার চেয়ে দ্রুত গতিতে কাজ দেয় কোকোয়া। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা কাটানো যায়। ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটে না।

কিন্তু চকোলেটই কেন? এর দুটো কারণ দেখিয়েছেন গবেষকরা। প্রথমত, মধুর মতো গলায় আঠালো একটা আস্তরণ তৈরি করে চকোলেট। তাতে স্নায়ুপ্রান্তগুলি ঢাকা পড়ে যায়। তাই ঠান্ডা লাগলেও গলা খুসখুস করা বন্ধ হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত, কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামের বিশেষ ধরনের অ্যালকালয়েড থাকে, যা কাশির মাধ্যমে বারবার কাফ ফেলার শারীরিক প্রয়োজন কমিয়ে দেয়।

সাধারণ ওষুর চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়। তাই গলার মধ্য তুলনামূলক মোটা আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। তাতেও কমে যায় কাশি।

কাশি হলে অনেকেই মধু খান। তবে গবেষকদের দাবি, মানুকা নামের এক ধরনের গুল্ম উদ্ভিদের ফুল থেকে মৌমাছিরা যে মধু তৈরি করে, সেটি-ই সবচেয়ে বেশি ঔষধিগুণ সম্পন্ন। দোকান-বাজারে যেগুলি পাওয়া যায়, তাতে মোম মিশে থাকে। তাই তেমন কাজ দেয় না। তাই চকোলেট বা ডার্ক চকোলেটের উপর ভরসা করাই ভাল।

তবে হট চকোলেটে কাজ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। কারণ ঈষদ উষ্ণ গরম দুধের সঙ্গে চকোলেট মিশিয়ে খেলে, তাড়াতাড়ি গলা বেয়ে নেমে যাবে সেটি। মোটা আস্তরণ আর গড়ে উঠবে না গলায়।

ওজন নিয়ে চিন্তা থাকলে, মিষ্টিছাড়া ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। সরাসরি কোকোয়াও খাওয়া যেতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর