× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুমারীত্ব নিয়ে পোস্ট দেয়ায় অধ্যাপকের বহিষ্কার দাবি যাদবপুরের ছাত্রীদের

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) জানুয়ারি ১৬, ২০১৯, বুধবার, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

মেয়েদের কুমারীত্বকে সিল্ড বোটল বা সিল্ড প্যাকেটের সঙ্গে তুলনা করে ফেসবুকে এক পোস্ট দেয়ায় তার বহিষ্কার দাবি করেছেন ঐতিহ্যশালী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক কনক সরকার গত রোববার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন মেয়েদের কুমারীত্ব নিয়ে। সেই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেসবুকেই অধ্যাপককে আক্রমণ করে পাল্টা পোস্ট দেওয়া শুরু হয়। প্রবল সমালোচনার মুখে অধ্যাপক তার বিতর্কিত পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন।  তবে মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রছাত্রীরা অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ছাত্রীদের অভিযোগ অভিযুক্ত অধ্যাপক ছাত্রদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার কথা বলা হয়েছে। অধ্যাপক সরকার  ফেসবুকে ‘ভার্জিন ব্রাইড-হোয়াই নট ?’ (ভ্যালু ওরিয়েন্টেড সোশ্যাল কাউন্সেলিং ফর এডুকেটেড ইউথ) শিরোনামে যে পোস্ট দিয়েছিলেন তাতে বলেছিলেন, কুমারি মেয়ে হচ্ছে ‘সিল্ড বটল’ কিংবা ‘সিল্ড প্যাকেট’-এর মতো। অনেক ছেলে এখনও বোকা, যারা কুমারি মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করার কথা ভাবে না।
এখানেই থেমে থাকেননি ওই অধ্যাপক। লিখেছিলেন, একটি মেয়ে কুমারিত্ব নিয়ে জন্মায় এবং সেই কুমারি স্ত্রী দেবদূতের মতো। তবে অধ্যাপক সরকার সমালোচনার মুখে অনঢ় থেকেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের সকলের নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমিও সেটাই করেছি। অন্যেরা তা গ্রহণ করবেন কি না, সেটা তাঁদের ব্যাপার। তবে নারীবাদীরা অধ্যাপকের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি শিক্ষকতা করার যোগ্য কিনা তিনি সেই প্রশ্নও তুলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, এক জন অধ্যাপক কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন? তাঁর কাছ থেকে পড়–য়ারা কী শিক্ষা পাচ্ছে? উনি নিজের পরিবারের মহিলাদেরও কি এ ভাবেই দেখেন? সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেছেন, ‘‘সিল্ড বটলের সঙ্গে তুলনা করলে তো উনি বোঝাতে চাইছেন, একটি করে ‘সিল্ড’ বোতল খুলে সেটাকে ব্যবহার করে আবার ফেলে দেওয়া। উনি কি সেদিকেই সম্পর্কগুলিকে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত করছেন? তা হলে তো মানবিক সম্পর্কের কোনও জায়গা নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর