দুই হাত ও এক পা ছাড়াই জন্ম তামান্নার। এই এক পা নিয়েই যুদ্ধে সামিল হয়েছেন তিনি। অদম্য যোদ্ধা তামান্না সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়ে পাস করেছেন। এখন পড়ছেন দশম শ্রেণিতে। জন্ম তার যশোর জেলার ঝিকড়গাছায়।
২০১৬ সালে জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট ও ২০১২ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাতে পেয়েছে জিপিএ-৫। স্বপ্ন তার চিকিৎসক হওয়ার। আবার পা দিয়ে ছবি একেও অনেক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।
তামান্নাকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষিত হয়েও চাকরি করেননি বাবা রওশন আলী। তিনি জানান, তামান্না ছোট থাকতে পায়ের ফাঁকে চক নিয়ে লেখার সময় পেতেন সামান্য ব্যথা।
এরপর কলমের মতো পাটখড়ি দিয়ে শুরু করেন লেখা। স্কুলে ভর্তি করানোর সময় পোহাতে হয় নানান ঝামেলা। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হয়। এই প্রথম হওয়াটা তার লেখাপড়ার উৎসাহ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।