× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার অত্যন্ত ধীর গতিতে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জানুয়ারি ১৯, ২০১৯, শনিবার, ১:১০ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমার অত্যন্ত ধীর গতিতে এগুচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ। শুক্রবার তার প্রেস ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে প্রশ্ন রাখেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক মাইকেল নিকোলাস। তিনি মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁর কাছে জানতে চান, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর ১৮ মাস পার হয়েছে। অনুল্লেখ্য সংখ্যক শরণার্থীই ফিরে গেছেন। জাতিসংঘ সেখানে যে সুবিধা চেয়েছিল তা পাচ্ছে না। পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে সে বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদও কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতায়। সর্বশেষ কখন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে আপনি কথা বলেছেন? তাকে আপনি কি বার্তা দিয়েছেন?
এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
তিনি বলেন, খুব ভাল। বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গেছে যখন আমরা সর্বশেষ কথা বলেছি। আমার বার্তা সব সময়ই একই রকম। এতে অবশ্যই আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এটা শুধু ‘ফিজিক্যাল’ পুনর্গঠনের বিষয় নয়। এটা হলো সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি পুনর্জাগরণের বিষয়। সরকারের শক্তিশালী প্রতিশ্রুতির বিষয়, যেটা হলো সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যতটা সম্ভব পুনরেকত্রীকরণ ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দেয়া। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় সত্য হলো, পরিস্থিতি যেমন হওয়ার কথা ছিল এখনও তেমন নয়। সব কিছু চলছে খুবই ধীর গতিতে। যদি এই সমস্যার মূল কারণ সমাধান করতে ব্যর্থ হন তাহলে সহিংসতা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে এবং এমনটা আমরা মিয়ানমারে সম্প্রতি দেখেছি। তাই আমি মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতিতে ঘাতটির বিষয়ে এবং এসব মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে ভীষণ রকম হতাশাগ্রস্ত। বিশেষ করে, চরম, অত্যন্ত চরম অবস্থার মধ্যে এখন বাংলাদেশে বসবাস করছেন এ সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ। আমি তাদেরকে ভুলে যেতে পারি না। আমরা চাই এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাতে তারা স্বেচ্ছায় ফিরে যান। এক্ষেত্রে প্রথম যে পদক্ষেপটা হওয়া উচিত অবশ্যই তা হলো আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের সমস্যা সমাধান। এসব মানুষের সমস্যার বিশ্বাসযোগ্য সমাধান দেয়ার ফলেই ভবিষ্যত প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর